আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বিতীয় দফায় মহেশখালীতে

স্টাফ রিপোর্টার:
আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর তদন্ত দল গতকাল দ্বীতিয় বারের মত মহেশখালীতে তদন্ত কাজে নেমেছে। ট্রাইব্যুনালের কো-অর্ডিনেটর সাবেক আইজিপি সানাউল হক ২৮ ডিসেম্বর মহেশখালী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ৭১ সালে সংঘঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনার স্বাক্ষীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার পেতে হলে তা প্রমাণ করতে স্বাক্ষী দিতে হবে। মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িতদের পক্ষ নিয়ে স্বাক্ষীদের কেউ ভয়ভীতি দেখালে ওই হুমকীদাতার বিরুদ্ধেও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সদস্য মোঃ. নুরুল ইসলাম, মহেশখালীর প্রথম শহীদ মোহাম্মদ শরীফের বড় ছেলে বর্তমান মহেশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন ইব্রাহীম, মহেশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আলমগীর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নোমান হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহমদ, বজ্র গোপাল প্রমুখ। এসময় মহেশখালীর শহীদ পরিবারের প্রায় ৪০/৪৫ জন স্বাক্ষী উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় শেষে তদন্ত টিম মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে সরজমিনে তদন্ত করে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তদন্ত টিমের প্রধান মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কর্তৃক অত্র ট্রাইব্যুনালে মহেশখালীর যুদ্ধাপরাধী ছালামত উল্লাহ খানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত দল মহেশখালীতে সরজমিনে তদন্ত করতে দ্বিতীয় বারের মত মহেশখালীতে এসেছেন। তদন্ত টিম এর আগে গত শুক্রবার সারাদিন মুক্তিযুদ্ধকালীন মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের শিকার নারী পুরুষের সাথে কথা বলে সাক্ষ্য সংগ্রহ করেন।

এসময় তারা পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দু পাড়া ও আদিনাথ ঠাকুরতলা, কালারমার ছড়া,গোরকঘাটাসহ বেশ ক’টি এলাকা পরিদর্শন করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও তদন্ত করতে গিয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল মর্মে অনেকের নাম আসছে। তদন্ত শেষ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেওয়া হবে বলে তদন্ত টিম সুত্রে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন