parbattanews

আলীকদমের চৈক্ষ্যংয়ে ইউএনডিপি’র অনুদানের টাকা আত্মসাৎ

২০১০ সালে ইউএনডিপি’র ‘জনসমষ্টি ক্ষমতায়ন প্রকল্প’র আওতায় ১২০ জন সদস্য নিয়ে সমিতি গঠন করা হয়েছিল আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের আমির হোসেন পাড়ায়। সমিতির সদস্যদের উন্নয়নে তিন কিস্তিতে ৬ লক্ষ টাকা প্রদান করে সংস্থাটি। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে সদস্যদের থেকে আদায় করে আরও ৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে অনুদানের ৬ লক্ষ টাকা ও সদস্যদের সঞ্চয় মিলে মোট ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমন অভিযোগ নিয়ে সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেলে অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী আলীকদম প্রেসক্লাবে উপস্থিত হন। এ সময় সাংবাদিকদের জানান, তাদের অভিযোগের কথা।

প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের আমির হোসেন সর্দার পাড়ায় ‘পাড়া উন্নয়ন কমিটি’ গঠন করে জাতিসংঘের দাতা সংস্থা ইউএনডিপি’র সহায়তায় গ্রাউস নামের একটি এনজিও। এ সময় তিন কিস্তিতে ইউএনডিপি কর্তৃক এ সমিতিকে ৬ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে পাশ বইয়ে স্বাক্ষর দিয়ে সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় করতেন সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন। তাদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন আব্দুল কুদ্দসের স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন ও সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী দিলরুবা কাদের চৌধুরী।

সমিতির সদস্য নাছিমা বেগম, হামিদা বেগম ও শাহাব উদ্দিনসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে সস্ত্রীক সমিতির সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন ৭০ জন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সালাহ উদ্দিন বলেন, সমিতির আমি উপদেষ্টা ছিলাম। ২০১০ সালে এ সমিতি শুরুর কিছুদিন পর তদারকির অভাবে এলোমেলো হয়ে যায়। কিন্তু এর দায় দেয়া হচ্ছে আমাদের ওপর।

অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সমিতির টাকায় ১২টি গরু কিনে বর্গা দেওয়া হয়েছে। যারা বর্গা নিয়েছিল তারা গরুগুলো ফেরত দিচ্ছে না। সমিতির সদস্যদের অনেকের সঞ্চয়ের টাকা ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রাউসের নির্বাহী পরিচালক চাউচিং মার্মার কাছে জানতে চাইলে বলেন, জনসমষ্টির ক্ষমতায়ন প্রকল্পটি শুরু করেছিল ইউএনডিপি’র অনুদানের অর্থে। আমার এনজিওটি এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী হিসেবে ২০১০ সালের মার্চ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। বর্তমানে সেটি দেখাভাল করছেন ইউএনডিপি।

জানতে চাইলে মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার খুশিরায় ত্রিপুরা বলেন, পিডিসি’র মাধ্যমে গ্রাউসকে দিয়ে প্রকল্পটি আলীকদমে বাস্তবায়ন করেছিল ইউএনডিপি। সে সময় ব্যাংকের মাধ্যমে সমিতিকে অনুদানের টাকাগুলো দেয়া হয়েছিল। এখন সেসব টাকা সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারী যদি আত্মসাত করেন তবে সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে টাকা উদ্ধারে সচেষ্ট হতে পারেন। অথবা স্থানীয়ভাবে কারো মধ্যস্ততায় বিষয়টি সমাধান করা যেতে পারে।

Exit mobile version