parbattanews

আলীকদমে টেলিটক-গ্রামীণ-রবি ও এয়ারটেলের ইন্টারনেট স্পিড স্লো: ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

পাহাড়ি জেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি মালিকানাধীন টেলিটক এবং বেসরকারি মালিকানার মোবাইল কোম্পানী গ্রামীণ, রবি ও এয়ারটেলের স্লো ইন্টারনেট স্পিডের কারণে নেটিজনদের পাশাপাশির চরম দূর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তাঁরা জনগুরুত্বপূর্ণ সংবাদগুলো যথাযথসময়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমে পাঠাতে পারছেন না।

সর্বশেষ শনিবার দুপুর বারোটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দেখা গেছে, সরকারি মালিকানাধীন টেলিটকের ইন্টারনেট স্পিড ‘০’ বাইট থেকে শুরু করে ৫০/৬০ কিলোবাইটে উঠানামা করছে। নেট স্পিডে উঠানামার হার এতই দ্রুতগামী যে তাতে ২/৩শ’ কিলোবাইটের একটি জেপিজি ফটো ফাইলও আপলোড হয় না। কয়েক সেকেন্ডের জন্যও নেটস্পিড স্থায়ী হচ্ছে না। এরফলে ইমেইল কিংবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ৪/৫শ’ কিলোবাইটের ছবি পর্যন্ত এটাচ করা যাচ্ছে না।

অপরদিকে, এয়ারটেল, রবি ও গ্রামীণ ফোনের নেট স্পিডের অবস্থাও তথৈবচ। এসব কোম্পানীর স্থানীয় কিংবা জেলা পর্যায়ে কোন অভিযোগ শাখা আছে কিনা তাও জানেন না এখানকার গ্রাহকরা। ফলে তাদের এই দুর্নীতি ও গ্রাহক ভোগান্তির প্রতিকার চাওয়ারও কোন মাধ্যম নেই উপজেলা পর্যায়ে।

এসব কোম্পানীগুলো গ্রাহকদের সীমে প্রতিনিয়ত দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক নানান ধরণের প্যাকেজের লোভনীয় অফারের টেক্সমেসেজ দিয়ে ফোন মেমোরি ভর্তি করে চলে প্রতিনিয়িত। কিন্তু এসব অফার কিনে প্রতিনিয়তই ঠকছেন গ্রাহকরা।

এ ব্যাপারে অভিযোগ করার জন্য সরকারের কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ না থাকার দিনের পর দিন ভোগান্তি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন পার্বত্য এ জনপদের সবশ্রেণির গ্রাহক।

অপরদিকে, বিটিসিএল আলীকদম উপজেলার সরকারি দপ্তরগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইন দিলেও এর থেকে নামেমাত্র ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। অধিকাংশ সময় এই লাইনে ইন্টারনেট স্পিড থাকেনা বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এসএম জিয়াউদ্দিন জুয়েল জানান, আলীকদমে টেলিটকের ইন্টারনেট গ্রাহকরাই বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ উপজেলায় বিদ্যুৎ যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ টেলিটকে ‘০’ বাইটের হলেও থ্রি-জি পাওয়া যায়। কিন্তু বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে ‘টু-জি’ হয়ে যায় টেলিটকের ইন্টারনেট স্পিড। জুয়েল আরো জানান, অন্যান্য কোম্পানীগুলোর ইন্টারনেট এয়ার ডিসডেন্সে ৪/৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ত্রি-জি কিংবা ফোর-জি পাওয়া গেলেও টেলিটক উপজেলা সদরের এক কিলোমিটারের মধ্যেই টু-জি হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বৃস্পতিবার বিকেলে টেলিটকের চট্টগ্রাম বিভাগের জিএম ইঞ্জিনিয়ার ডিএম নুরুল হুদার সাথে যোগাযোগ করা হলে দায়সারা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আলীকদম টেলিটক টাওয়ারের মেশিন চালানোর জন্য যে ব্যাটারী আছে তা দুর্বল হয়ে গেছে। ব্যাটারীতে পর্যাপ্ত চার্জ থাকে না। তবে তিনি বারবার টেলিটকের নেট স্পিড ডাউন হয়ে যাওয়ার হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন। এ অবস্থার উত্তোরণে তিনি পদক্ষেপ নিবেন আশ্বাস দেন।

এর আট মিনিটের মাথায় টেলিটক চট্টগ্রাম জোনাল অফিস থেকে এনামুল হক পরিচয়ে একজন ফোন করেন পার্বত্যনিউজকে। তিনি বলেন, আলীকদম বাজার এলাকায় স্থাপিত টেলিটক টাওয়ারের ব্যাটারী দুর্বল হওয়ায় এ অবস্থা হচ্ছে। বাসস্টেশনের টেলিফোন একচেঞ্জে এ সমস্যা নেই। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলীকদম বাস স্টেশন এলাকায়ও টেলিটক ইন্টারনেটের বাজে অবস্থা বিরাজ করছে।

Exit mobile version