parbattanews

আলীকদমে বন্যার পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

বান্দরবানের আলীকদমে অতিবৃষ্টিতে বন্যার পানিতে ৪টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় টানা দুই দিন তলিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার বিকাল থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ না হলে দ্রুত বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছন।

বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার প্রান্তিক কৃষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে আমার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আউশ ধান, আমার পেঁপে বাগান, বেগুন ক্ষেত, মরিচ ক্ষেতে বন্যার পানিতে পলি জমে থাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদেরকে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কিছু কৃষি প্রণোদনা দেন তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রান্তিক চাষিদের শত শত বিঘার উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের এখন কপালে হাত উঠেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও প্রণোদনা চেয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।

আলীকদম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিযুষ রায় বলেন, এ এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের বন্যার পানিতে ৪টি ইউনিয়নে শত শত কৃষকে আউশ ধান, আমন ধান, বীজতলা, শাক-সবজি, মসল্লা চাষসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলাজুড়ে এবারের বন্যায় আউশ ধান ১৫.৭৮ হেক্টর, আমন বীজতলা ১.৩০ হেক্টর ও বিভিন্ন শাক সবজি ১২.২৫ হেক্টর,মসল্লাসহ অনান্য ৬.৯০ হেক্টর জমির চাষ বন্যার পানির নিচে তলিয়ে সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও পুরোপুরি নেমে গেলেও এখনো অনেক মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া বন্যা কবলিতরা এখনো নিজ ঘরে ফিরতে পারেনি।

Exit mobile version