parbattanews

আলীকদমে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ : ২ শিশুর মৃত্যু : হাসপাতালে ঔষধ সংকট

image_39663

আলীকদম প্রতিনিধি:

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ফের ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত দেড়মাসে অন্তত: ২৩২ জনের দেহে ম্যালেরিয়া জীবাণু পাওয়া গেছে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ম্যালেরিয়ার ঔষধ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ঔষধ সংকটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। তবে আক্রান্তের হার বেসরকারিভাবে আরো বেশি বলে দাবী স্থানীয়দের।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবের রক্ত পরীক্ষায় গত দেড়মাসে কমপক্ষে ২৩২ জন রোগির দেহে ম্যালেরিয়া জীবাণু পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই হতদরিদ্র শ্রেণির মানুষ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংপ্রাণ ¤্রাে (৮) ও লংথয় ¤্রাে (২) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাড়ি উপজেলার দুর্গম মেনকেউ পাড়ায়।

এদিকে, ম্যালেরিয়া রোগির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাহিদা দিয়েও পর্যাপ্ত ঔষধ পাওয়া যায়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ঔষধ সংকটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ম্যালেরিয়া জোন খ্যাত আলীকদম উপজেলায় গেল বছর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের হার মোটামুটি কমে গিয়েছিল। এ বছর বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে আশংকাজনক হারে এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগির সংখ্যা বেড়ে যায়। বাসা-বাড়িতেও এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। মূলত: মশার উপদ্রব থেকে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগে কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের মাঝে মশারি বিতরণ করা হয়। এর পর এ উপজেলায় আশাতীতভাবে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের হার কমে এসেছিল। তবে ইদানিং ম্যালেরিয়া আক্রান্তের হার আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

সরেজমিনে পরিদর্শনে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক চেম্বারগুলোতে প্রচুর রোগির ভীড় দেখা গেছে। যাদের বেশীরভাগই নারী ও শিশু। রোগির চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। একই অবস্থা রোগি ভর্তি ওয়ার্ডগুলোতেও।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে ম্যালেরিয়া রোগির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঔষধ সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। চাহিদা দিয়েও পর্যাপ্ত ঔষধ পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version