parbattanews

আলীকদমে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, নাইক্ষ্যংছড়িতে কিশোরের মৃত্যু

টানা দুইদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় আলীকদম উপজেলার সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে আশীষ বড়ুয়া (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার থেকে বান্দরবানের সাত উপজেলার ভারী বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে থাকে। জেলার সাঙ্গু, মাতামুহুরী এবং বাকখালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া, কোনাপাড়া, বাইশারী ইউনিয়নের নারিচবুনিয়া, বাইশারী সদর, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর বড়ুয়া পাড়া, ধুংড়ী হেডম্যান পাড়া এলাকার বহু ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পাহাড় ধসে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অপরদিকে আলীকদমের লাইনঝিরি, শিলেরতুয়া, সিবাতলী, দরদরী ঝিরিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আলীকদম উপজেলার সাথে জেলা সদর, লামা ও কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাথেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি ইউএনও সালমা ফেরদৌস জানান, বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে খালের পানিতে ডুবে ঘুমধুমে আশীষ বড়ুয়া (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি এবং রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যানিং মারমা জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সোনাইছড়ি সড়কে পাহাড় ধসের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে বৃষ্টিতে বান্দরবান জেলা সদর’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিতে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি এবং সদর উপজেলার অভ্যন্তরিন সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

বান্দরবান মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাতের পরিমান মঙ্গলবার বেড়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া দরকার।

Exit mobile version