আ’লীগ নেতার মেয়ের আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে: যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৪ বহিস্কৃত নেতা আটক

download

স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবান স্কুল পড়ুয়া ১০ম শ্রেণী ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বান্দরবান আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ বহিস্কৃত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুরের নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের আটক করা হয়।

মঙ্গলবার ভোর রাতে তাদের নিজ বাসা ও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, আওয়ামী সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা বাপ্পী মল্লিক, ইমন বড়ুয়া, আবু তৈয়ব, এবং চ্যানেল নাইনের জেলা প্রতিনিধি এনএ জাকির।

আটককৃতরা সকলে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় তিনটি মামলার অভিযুক্ত আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছেন। তবে ঘটনার মূলহোতা বান্দরবান লাংঙ্গী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, বান্দরবান শহরের গোরস্থান মসজিদ এলাকার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রীর পিতা ২ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।

সূত্র আরো জানায়, এ মামলার অন্যতম আসামি শহরের লাঙ্গিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমান বাবুর সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হলে বাবু গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় অশ্লীল ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।

বান্দরবান সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ বলেন, আটককৃতদের প্রত্যেকের মোবাইল থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক নেতার মেয়ের আপত্তিকর ছবি’সহ আরো কয়েকজন মেয়ের আপত্তিকর ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি জনগণের কাছে প্রচারের অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনের ৮ (২) ধারা মোতাবেক আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার মূল হোতা আরিফুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

মামলার বাদী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কতিপয় নেতা ষড়যন্ত্রমূলক আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পর্নোগ্রাফির সঙ্গে আমার পরিবারের ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। আমি একজন বাবা হিসেবে অপরাধীদের শাস্তি দাবী করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন