আলী জিন্নাহ ও তার পরিবারের সংবাদ সম্মেলনকে ভিত্তিহীন দাবি

fec-image

রাঙামাটি শহরের ব্রাক্ষণটিলা নামক এলাকায় প্রভাবশালী পরিবার ও তাদের সন্ত্রাসীদের থেকে নিজের ভূমি বাঁচাতে সাহায্যর আবেদন চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপির মাধ্যমে এই দাবি জানান স্থানীয়রা।

প্রতিবাদ লিপিতে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ব্রাক্ষণটিলা এলাকার বাসিন্দা আলী জিন্নাহ ও তার পরিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি করেন, সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে স্থানীয় এক প্রভাবশালী পরিবার তার পরিবারের তিন নারীর উপর হামলা চালায়। এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ নাটকীয়তা এবং ভিত্তিহীন ঘটনা বলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন।

তাদের দাবি- জিন্নাহ, তার পরিবার এবং ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট এলাকাবাসীর চলাচলের সরকারি রাস্তা দখল করে রাতারাতি ধারক দেওয়াল এবং ফলক গেইট নির্মাণ করে স্থানীয় ইলিয়াসের জমি দখলের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে আলী জিন্নাহ, তার পরিবার এবং ভূমিদস্যুরা এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এই বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র এবং কোতয়ালী থানায় সমাধানের চেষ্টা চালালে জিন্নাহ ও তার পরিবার তা মানতে অপরাগতা প্রকাশ করে।  প্রতিবাদ লিপির মাধ্যমে বর্তমানে  জিন্নাহ’র পরিবার কর্তৃক এই ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানান ওই এলাকার স্থানীয়রা।

প্রসঙ্গত: রাঙামাটি শহরের ব্রাক্ষণটিলা নামক এলাকায় প্রভাবশালী পরিবার ও তাদের সন্ত্রাসীদের থেকে নিজের ভূমি বাঁচাতে সাহায্যর আবদেন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলী জিন্নাহ ও তার পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সন্মলনে লিখিত বক্তব্যে আলী জিন্নাহ বলেন,  ১৯অক্টোর সকালে আমার প্রতিপক্ষ ইলিয়াস (৪৫), আবু বক্কর (২৪), ইদ্রিস (৫৮), শাহজাহান (৫০), জনি (২৫), ইমন (২২), সাগার (২৮), আকাশ (২২), মোজাম্মেল (৫০), কামাল হোসেন (৪৫), গুরা মিয়া (৬০)  এবংইসমাইলরা (৪০) মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ঘরে সংঘবদ্ধ হামলা চালায়ে আমার স্ত্রী, কন্যা, ছেলের বউকে গুরুতর আহত করে। এরপর আমার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা একটি মহলদ্বারা লালিত-পালিত। সংবদ্ধ দলটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংবদ্ধ হয়ে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করছে।

তিনি জানান, আমি কাপ্তাই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ প্রজা। আমার বি-ফরম এর জায়গা খাস করে প্রভাবশালী মহলটি ভোগ-দখল করেছে অনেক আগে। এখন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করে আমার পরবর্তী জায়গা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এক বৃদ্ধ অসহায়। তাদের কারণে ভয়ে দিনযাপন করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, কাপ্তাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন এবং তার ভাই রাঙামাটি হর্টিকালচার সেন্টার এর কৃষি কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন এর ছত্রছায়ায় মহলটি এই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আমি থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গণমাধ্যম, রাঙামাটি, সংবাদ সম্মেলন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন