parbattanews

আয়, সম্পদ ও ঋণে এগিয়ে জাহাঙ্গীর, পিছিয়ে কুদ্দুছ!

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ক্ষমতায় থাকলে যেকোন ভাবে হোক সম্পদ বাড়বে এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এক বার ইউপি সদস্য, তিন বার ইউপি চেয়ারম্যান এবং চার বার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েও তেমন সম্পদ বাড়েনি বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছের। বাস্তবিক অর্থে বান্দরবান সদর উপজেলার এই চেয়ারম্যানের  সম্পদের পরিমাণ অজানা রয়েছে।

অপরদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন তিনি। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী পরিবারে থেকে রাজনীতি করছেন একেএম জাহাঙ্গীর। এবার আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। হলফনামায় প্রাপ্ত তথ্যে আওয়ামীলী এই প্রার্থী আয়, সম্পদ এবং ঋণে অগিয়ে রয়েছেন বহূদূর।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ:

হলফনামা শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছেন অষ্টম শ্রেণী পাশ। পেশা আবাসিক ঘর ভাড়া পরিচালনা, কৃষি জমি পরিচালনা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন, বিপণন। তবে কৃষিখাত থেকে আয়ের উৎস এ কিছু লিখেননি। তবে প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ৬০ হাজার টাকা। আর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সম্মানী ভাতা হিসেবে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে নিজের ২ লাখ টাকা, স্ত্রী নামে ১ লাখ টাকা এবং নির্ভরশীলদের নামে ২ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ হাজার টাকা। নিজের নামে স্বর্ণালংকার আছে ৬৫ হাজার টাকার (নেকলেস, চুড়ি, আংটি)। তবে স্ত্রীর নামে কোন স্বর্ণালংকার নেই। ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে ৪০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৪৫ হাজার টাকার।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে কৃষি জমি রয়েছে ১ একর ৬০ শতক। স্ত্রীর নামে ৩১৪নং মৌজায় জমির পরিমাণ লেখা হয়েছে তবে ঘষামাঝা করে। নিজ নামে অকৃষি জমি রয়েছে ১৭ একর, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৯ একর ৭০ শতক। তবে এই জমির মূল্য নির্ধারণ নেই বলে লিখেছেন তিনি।

দালান, আবাসিক, বানিজ্যিক রয়েছে ১টি। যার অর্জনকালীন সময়ের মূল্য দেখানো হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। বাড়ি বা এপার্টমেন্ট রয়েছে ১টি। যার অর্জনকালীন সময়ের মূল্য ৪০ হাজার টাকা। অন্যান্য বিবরণীতে বাজার ফান্ডের প্লট, মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। অতীতে কখনো তিনি মামলার আসামী হননি।

আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রাথী একেএম জাহাঙ্গীর:

শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ। পেশা ও ব্যবসা হিসেবে চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিক দেখিয়েছেন। বাড়ি, এপার্টমেন্ট ও দোকান থেকে বাৎসরিক আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪শ’ ৪১ টাকা।

রাবার বাগান থেকে আয় ৪ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৩শ’ টাকা। বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্রে স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৫ লাখ টাকা এবং নির্ভরশীলদের নামে ১০ লাখ টাকা।

নিজ নামে র্স্বণাংলকার রয়েছে ৩৫ হাজার টাকার এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, যার মূল্য ৪২ হাজার টাকা। ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার এবং আসবাবপত্র রয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ ৬ লাখ ৯০ হাজার ৬শ’ ৭৯ টাকা এবং ৪৫ হাজার টাকার।

অকৃষি জমি রয়েছে মোট ১৫ একর ২ শতক। বাজার ফান্ডে রয়েছে ৩০ বাই ২০ সাইজের জায়গা। স্ত্রীর নামে পৈত্রিক ও বন্দোবস্তি সূত্রে রয়েছে ১১একর। দালান রয়েছে ১টি। যার অর্জনকালীন সময়ের মূল্য ৭ লাখ টাকা।

বাড়ি ও এপার্টমেন্ট রয়েছে ঢাকায় ১ হাজার ৩শ’ ৭০ বর্গফুটের বুকিং জায়গা। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৮০ বর্গফুট। যার মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

রাবার বাগান ও মৎস্য খামার রয়েছে ৫০ একর (লীজ), যার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা। দ্বায় দেনার মধ্যে ট্রাস্ট ব্যাংকে রয়েছে গাড়ি লোন ১৭ লাখ টাকা ও সিসি লোন ২৫লাখ টাকা।

অকৃষি জমি ও অর্জণকালীন সময়ে ২০ হাজার টাকার সম্পদ উল্লেখ করেছেন তিনি।

এছাড়া স্থাবর-অস্থাবর কিছুই নেই তাঁর। দ্বায়-দেনার মধ্যে ব্যাংকে লোন রয়েছে ২০ লাখ টাকা। তিনি কখনো মামলার আসামী হননি।

Exit mobile version