parbattanews

আ.লীগের নেতাকর্মীরা চকরিয়ায় বৈষম্যের রাজনীতি আর পছন্দ করেনা

হারবাং ইউনিয়ন আ.লীগের সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে শুক্রবার বিকালে সম্মেলন ও কাউন্সিলর উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী।

অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়ুয়া, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দারুস ছালাম মো. রফিক, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, হারবাং ইউনিয়ন সিনিয়র সহ-সভাপতি মুরাদ,  যুগ্ন সম্পাদক বেলাল মাস্টার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম, উপজেলা যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলীম, আওয়ামী লীগ নেতা রাজা মিয়া, দিল হোসেন, মনজুর আলম,

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, যুবলীগের পারভেজ, বরকত, ওয়াহিদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি আবদুল মালেক, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে কাউন্সিল অধিবেশনে সকলের সম্মতিক্রমে মনজুর আলমকে সভাপতি ও নুরুল আবছারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। পরে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া সংগঠন আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারক-বাহক। আওয়ামীলীগ মানে জনগনের অধিকার সুরক্ষা ও দেশের অগ্রগতি উন্নয়নের একমাত্র ঠিকানা। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেত্বত্বে আজ আওয়ামীলীগ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের সমস্ত অর্জনের পেছনে একমাত্র দাবিদার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তাই দলের এই অগ্রগতি আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। সেইজন্য চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি জনপদে ত্যাগী ও নিবেদিনপ্রাণ নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগকে সাজাতে হবে।

তিনি বলেন, অতীতে যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁরা কোনদিন মুল্যায়িত হয়নি। কিন্তু দলকে ব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছেন গুটিকয়েক নেতা। তাদের পাশাপাশি পরিবারের অনেকে সুফল পেয়েছেন। পক্ষান্তরে সাধারণ নেতাকর্মীরা জয়বাংলার স্লোগান নিয়ে রাজপথে থাকলেও এখন তাদের খবর নেয়না কেউ। এ ধরণের বৈষম্যের রাজনীতি চকরিয়ার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আর পছন্দ করেনা। তাই আগামীতে উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলে নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে ঢেলে সাজাতে হবে।

Exit mobile version