ইউপিডিএফ এর নারী সংগঠনের কর্মসূচিতে জেএসএস সমর্থিতদের হামলা
রাঙামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটি শহরে ইউপিডিএফ সমর্থিত ৪ নারী সংগঠনের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে জনসংহতি সমিতি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে নারী সংগঠনগনের নেতাকর্মীদের ওপর এ আকস্মিক হামলা চালানো হয়। এ সময় তিনজনকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে নারী নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রহসনমূলক রির্পোট প্রত্যাখ্যান এবং অবিলম্বে নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিতে রাঙামাটিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচির আয়োজন করে ইউপিডিএফ সমর্থিত চার নারী সংগঠনগুলো হল পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, সাজেক নারী সমাজ এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন। ধর্মঘট চলাকালে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও যুব সমিতির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় হিল উইমেন ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মন্টি চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক এন্টি চাকমা ও দিঘীনালা কলেজ শাখার সভাপতি চৈতালী চাকমা আহত হন।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মন্টি চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ‘নারী নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলার তদন্ত রিপোর্ট ও নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পিসিপি এবং যুব সমিতির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া তিনজনকে মারধর করেছে এবং কর্মসূচিতে আসা নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। আমরা এই ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
পার্বত্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা জানান, ইউপিডিএফের মত একটি সশস্ত্র বাহিনী আমাদের মতামত না নিয়ে কোন কর্মসূচি পালন করা এটা অসামাজিক। অবস্থান ধর্মঘট না করার জন্য পিসিপি কেন তাদেরকে প্রশাসনেরও বাঁধা দেওয়া উচিত ছিল।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রশিদ জানান, ইউপিডিএফ সমর্থিত চার নারী সংগঠনের কর্মসূচিতে জেএসএসের নেতারা হামলা করেছে শুনে তাড়াতাড়ি ফোর্স পাঠাই এবং আমিও নিজেও আসি। এসে দেখি কেউ কোন অভিযোগ করেনি এবং পরিস্থিতি ঠান্ডা ছিল।
