ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রত্যাখান করলো ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে দুই সংগঠনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
গেল ২৮ মার্চ ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী থুইক্যচিং মারমা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরুপা চাকমার নেতৃত্বে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদিকা মন্টি চাকমা এবং রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা দয়াসোনা চাকমার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’র প্রধান তপন জ্যোতি চাকমাকে দায়ী করে দেওয়া অভিযোগ প্রত্যাখান করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯মার্চ) ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’র তথ্য ও প্রচার বিভাগ সংবাপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগকে সম্পূর্ণ মনগড়া, আজগুবি, আত্মপক্ষ, মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিরা এক পক্ষীয় বক্তব্য শুনে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা অত্যন্ত একপক্ষীয়, পক্ষপাতমূলক, উদ্বেগজনক এবং হতাশাব্যঞ্জক। দুনিয়ার সমাজে একটা নিয়ম রয়েছে বাদ-প্রতিবাদ, সমন্বয় সাধন করা। কিন্তু নিমন্ত্রিত অতিথিরা উভয় পক্ষের বস্তুনিষ্ট বক্তব্য, তথ্য ভিত্তিক ঘটনা প্রবাহ যাচাই না করে কেবমাত্র দেউলিয়া স্বৈরাচারী (প্রসিত) এর অঙ্গ সংগঠন সমূহের সাথে সংহতি বক্তব্য প্রদান করেছেন তা অনভিপ্রেত, বাস্তবতা বিবর্জিত এবং নিরপেক্ষহীনতার বহিঃ প্রকাশ বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী ইউপিডিএফ কর্তৃক যে বর্বরোচিত সিরিজ হত্যাকাণ্ড, নৃশংসভাবে গুম, অমানবিকভাবে অপহরণ, মধ্যযুগীয় কায়দায় সাধারণ মানুষকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, বেপোরোয়াভাবে অস্ত্র উচিয়ে চাঁদাবাজী, ব্যবসায়ীদেরকে মৃত্যুর হুমকি প্রদান, খাগড়াছড়ি সদর ৪ কি.মি. স্থানে গাড়ি বহরের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ (২১/০৩/২০১৮ইং), নিরীহ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ইত্যাদি ঘটনা পার্বত্য এলাকায় নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রসীতের নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ কর্তৃক সংঘটিত অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিক লেখক, সাহিত্যিক তথা বুদ্ধিজীবী এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা অতি আপন হয়ে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভূমিকা পালন করেনি।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের সকল অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিবর্গ, বিশিষ্ট সুধীজনকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক বাস্তবতা এবং পরিস্থিতি যথোচিতভাবে মূল্যায়ন করে সকল অপ্রত্যাশিত ঘটনা ইচ্ছানিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু তদন্ত সঠিক পর্যবেক্ষণ বজায় রেখে সুচিন্তিত মতামত এবং বৈপ্লবিক ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।