parbattanews

ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার সন্ধান দাবি

পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা প্রায় নয় মাস ধরে নিখোঁজ। তার সন্ধান দেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে চারটি পাহাড়ি সংগঠন।

ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার সন্ধান ও মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে মাইকেল চাকমাকে উদ্ধারপূর্বক সুস্থ শরীরে ও নিরাপদে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহসাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, মাইকেল চাকমার বড় বোন সুভদ্রা চাকমা।

এছাড়া সংহতি জানিয়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আকমল হোসেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাসদ মার্কবাদীর কেন্দ্রীয় সদস্য মানস নন্দী, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নি শিকা জামালী, কবি হাসান ফকরি এবং লেখক ওমর তারেক চৌধুরী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মাইকেল চাকমা রাজনৈতিক কারণে নিখোঁজ হয়েছেন। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিন্তু সরকার ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তা করছে না। বক্তারা, খুন-গুম-ক্রসফায়ার ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, মাইকেল চাকমা বিগত ৯ এপ্রিল ’১৯ নিখোঁজের পর দীর্ঘ ৯ মাসের অধিক সময় পার হলেও এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানের দাবিতে বহু কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে, হাইকোর্টেও রিট করা হয়েছে। হাইকোর্ট সোনারগাঁ ওসিকে মাইকেল চাকমার নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার সন্ধানের জন্য এখনো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইকেল চাকমা নিখোঁজের বিষয়ে সোনারগাঁও থানায় জিডি নিতে হবে। তাকে সুস্থ শরীরে নিরাপদে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, ক্রসফায়ার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায়ভাবে ধরপাকড়-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

Exit mobile version