parbattanews

ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিলো ইউনেসকো

মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখেন মুসলমানরা। যা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। শরিয়তের পরিভাষায়, ইবাদতের উদ্দেশে সুবেহ সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার, জৈবিক চাহিদা পূরণ ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তিকর কাজ থেকে বিরত থাকাকে রোজা বা সিয়াম বলে। ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে সূর্যাস্তের পর ইফতার করে রোজা ভাঙেন মুসলমানরা। আর এই ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিতে যৌথভাবে ইউনেসকোতে আবেদন করেছিল ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।

ইউনেস্কো মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজে বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সহায়তা, সংহতি ও সামাজিক বিনিময় এবং সৌহার্দ্যের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে।

ইফতারের তাৎপর্য:
হাদিসে রোজাদারের জন্য ইফতারপূর্ব সময়টিকে অত্যন্ত মূল্যবান ও তাৎপর্যবহ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবি করিম (স.) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয় না, ১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া, ২. ন্যায়বিচারক বাদশাহর দোয়া এবং ৩. মজলুমের দোয়া।

অন্য হাদিসে এসেছে রাসূল (স.) বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদারের ন্যূনতম একটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়।

Exit mobile version