ইয়াঙ্গুনে আটকে পড়া বিক্ষোভকারীদের মুক্তি

fec-image

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরে সারারাত আটকা থাকার পর অবশেষে প্রায় ২শ বিক্ষোভকারী মুক্তি পেয়েছে। সোমবার ইয়াঙ্গুনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে আটকা পড়ে ওই বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনী সোমবার রাতভর ওই বিক্ষোভকারীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। অবশেষে তারা সেখান থেকে নিজেদের গন্তব্যে ফিরেছে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো ওই বিক্ষোভকারীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানায়। ইয়াঙ্গুনের সানচুং এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁদে আটকা পড়ে এসব তরুণ। সে সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় থেকে বলা হয় যে, বিক্ষোভকারীদের ওই দলটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিল এবং তাদের চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত।

এরপরেই মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনী ওই বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দিয়েছে। দেশটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই এর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৫৪ জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে।

সানচুংয়ের বাইরে থেকে কেউ এসেছে কিনা তা খুঁজতে পুলিশ ওই এলাকায় বাড়িঘরে তল্লাশি করছিল। স্থানীয় অধিবাসী ও স্থানীয় একটি নিউজ সার্ভিস ফেসবুকে জানিয়েছে যে, অন্তত বিশ জনকে এ সময় আটক করা হয়।

সেসময় সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং ধারণা করা হচ্ছে যে এগুলো সামরিক বাহিনীর ছোড়া স্টান গ্রেনেডের শব্দ। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সর্বোচ্চ ধৈর্যধারণ করতে এবং সহিংসতা বা গ্রেফতার ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের নিরাপদ প্রস্থানের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আটকে পড়াদের অনেকেই নারী যারা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের র‌্যালিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। এদিকে ইয়াঙ্গুনে কারফিউয়ের মধ্যেই বহু মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তাদেরকে ‘সানচুংয়ের ছাত্রদের ছেড়ে দাও’ বলে শ্লোগান দিতেও শোনা গেছে।

এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরের দিকে নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপরই তারা সেখান থেকে বের হতে পেরেছেন।

সোমবার রাতে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বেশিরভাগই মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত লুকিয়ে ছিল। পরে নিরাপত্তাবাহিনী সেখান থেকে সরে যাওয়ার পর তারাও নিজেদের গন্তব্যে ফিরেছেন।

সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন