parbattanews

ইয়াবা চোরাচালানের দ্বিতীয় ট্রানজিট নাইক্ষ্যংছড়ি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে আবারো ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে ১১ বিজিবির সদস্যরা। সোমবার (২২মার্চ) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী জামছড়ি এলাকা থেকে এই দুই মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলো-জামছড়ি এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে আমিরুজ্জামান (৪০) ও মো. রফিকের ছেলে আবদুর রহিম (৩০)। আটকৃত দুইজনের হেফাজত থেকে ২৪৫পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত দুই মাদক কারবারী ইয়াবা বিক্রির লেনদেন করছে খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বিজিবি নিয়ন্ত্রিত ফুলতলী ক্যাম্পের হাবিলদার আব্দুস সামাদ এর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় জামছড়ি এলাকা থেকে ওই দুই মাদক কারবারীকে ২৪৫পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পরবর্তী তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, টেকনাফ সীমান্তে প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে মাদক কারবারীরা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তকে মাদক পাচারের নিরাপদ রোড হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বিশেষ করে ঘুমধুম, বাইশফাঁড়ি, রেজু আমতলী, সোনাইছড়ি, নিকুছড়ি, চাকঢালা, আশারতলী ও ফুলতলী পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসে বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে। পরবর্তী সোনাইছড়ি-উখিয়া-ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু, আশারতলী-ফুলতলী থেকে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া রোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয় এইসব ইয়াবা। এসড়কে পুলিশ ও বিজিবির স্থায়ী চেকপোস্ট বলতে জারুলিয়াছড়িতে একটি তল্লাসী চৌকি থাকলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  কিছুদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এই মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি পরিবর্তন হয়েছে অন্তত শতাধিক বিভিন্ন পেশার মানুষ। তারা এলাকায় কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ঠিকাদার, আবার কেউ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে।

Exit mobile version