ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুট ঘুমধুম
এখন ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুট ঘুমধুম সীমান্ত। এ সীমান্তের অন্তত ৫টি পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে বাংলাদেশে। মিয়ানমারের ৩৭ ইয়াবা কারখানার অন্তত ১৭টি নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে। এরই মধ্যে ধুমধুমের বিপরীতে রয়েছে ১০টি। এ সব কারখানা থেকে এতোদিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা পাচারসহ চোরাচালানী হয়ে আসলেও ৩৪ বিজিবি দায়িত্ব নেয়ার পর পরিবেশ পাল্টে যায়। তারা নজরদারি বাড়িয়ে দেয় তাদের দায়িতপূর্ণ এলাকায়। অভিযান চালায় নিয়মিত।
এরই অংশ হিসেবে তারা গত ১৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের ৩৯ নম্বর পিলার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারকালে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজু আমতলী সীমান্ত পয়েন্টে
৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে তারা। যার আনুমানিক মূল্য সোয়া ১ কোটি টাকা। এ সময় ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে বিজিবির এ দলটি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র গুলো জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩৪ বিজিবির রেজু আমতলী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল জোয়ান অভিযান শুরু করে দক্ষিন রেজু আমতলী সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটকে। প্রায় ২ ঘন্টা অভিযান চালানোর পর বিজিবি জোয়ানরা চোরাচালানীদের দেখতে পেলে আটকের জন্যে ধাওয়া করে। আসামীরা পালাতে চেষ্টা করলে বিজিবি ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। পালানোর সময় তারা ফেলে যায় ৪০ হাজার ইয়াবা। যা পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তারা।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানায়, এ সীমান্তে ৫টি পয়েন্টে নিয়মিত ইয়াবা ব্যবসাসহ চোরাচালান হয়ে আসছে।
পয়েন্ট গুলো হলো: সীমান্তের ৩৯ নম্বর পিলারের দক্ষিণ রেজু আমতলী পয়েন্ট, ৪০ নম্বর পিলারের গর্জবুনিয়া পয়েন্ট, ৪১ পিলারের নিকটবর্তী ওয়ালিদং পাহাড় পয়েন্ট, আর ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের মাঝখানের ফাত্রাঝিরি পয়েন্ট ও ৪২ নম্বর গাছবুনিয়া ( মঞ্জয়পাড়া ও নিকোছড়ি মাঝখানে) পয়েন্ট।
এসব পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের মগ চোরাচালানীদের সাথে হাত করে শতাধিক স্থানীয় উপজাতী, রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় কারবারীরা এ অসৎ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। আর এরই মধ্যে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় একটি চালান আটক করে ৩৪ বিজিবি। এ আটক ঘটনার পর চোরাচালানীরা সতর্ক হয়ে ব্যবসা চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।