সংবাদ প্রকাশের জেরে

ঈদগাঁওতে বনবিভাগের জায়গা উদ্ধারে অভিযান

fec-image

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের অধীন ঈদগাঁও ভোমরিযা ঘোনা রেঞ্জের আওতাভুক্ত বনবিভাগের কয়েক একর জায়গার উপর অবৈধ দখল উচ্ছেদে অবশেষে অভিযান চালিয়েছে বনবিভাগ। সম্প্রতি গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসে বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ১৭ মে (রবিবার)সকাল ৯ টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়।

অভিযানে অংশগ্রহণকারী শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, কক্সবাজার সদর এসিএফ সেহেল রানার নেতৃত্বে শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সমন্বয়ে বনবিভাগের একটি দল ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জের আওতাভুক্ত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের মোক্তারের দোকান সংলগ্ন হাজির বাগান নামক এলাকায় বন বিভাগের কয়েক একর জায়গার গাছ পালা সম্পুর্ণ ধ্বংস করে। ওই জায়গার উপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভূমিদস্যু চক্রের মালিকানাধীন অবৈধ বাগানে রোপিত চারা উপড়ে ফেলে জায়গার অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে তা উদ্ধার করে। উপস্থিত রেঞ্জ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে বনজ সম্পদ ধ্বংসে জড়িত ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের এবং উদ্ধারকৃত জায়গায় দ্রুত বনায়ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও সচেতন মহলের দাবি, যেহেতু বন বিভাগের ওই জায়গা অবৈধ দখলে নিতে হেডম্যান ইদ্রিসের মধ্যস্থতায় ভূমিদস্যু চক্রের সাথে রেঞ্জ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের মোটা অংকের অবৈধ লেনদেন হয়। সেহেতু অভিযান পরবর্তী মামলা থেকে ভূমি খেকোদের বাদ দিতে প্রতারণা আশ্রয় নিতে পারে রেঞ্জ কর্মকর্তা।

এছাড়াও এ জায়গা ফের দখলে দিতে নানা কৌশলও করতে পারেন। তাই মামলায় প্রকৃত ভূমিদস্যুরা যাতে আসামি হয় এবং জায়গাটি পুনরায় অবৈধ দখলে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বিভাগীয় কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তা হেডম্যানের মধ্যস্থতায় রামু এলাকার আরিফ ও জানে আলম নামের ভূমি খেকোদের কাছ থেকে মোটা অংকের অবৈধ সুবিধা নেয়। বিনিময়ে ওই এলাকার কয়েক একর জায়গার বনজ সম্পদ সম্পুর্ণ ধ্বংস করে তা অবৈধ দখলে নিয়ে তাতে নিজ মালিকানাধীন বাগানের কাজ শুরু করে। ক্ষুদ্ধ স্থানীয় লোকজন ও সচেতন মহল এর প্রতিবাদ করলে এ দুই অসাধু কর্মকর্তা অভিযানের নামে আইওয়াশ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেয়। এ সংবাদ পেয়ে সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে গেলে এর সত্যতা পায় এবং এ ভূমি দখলে জড়িত আরিফ ও জানে আলম সরাসরি স্বীকার করে তারা স্থানীয় বনবিভাগকে বশে এনে এ জায়গার উপর বাগান করছে। এমনকি এ বাগানের পেছনে একজন সংসদ সদস্য, একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলারও জড়িত বলে তারা দাবি করে। তাদের পক্ষ হয়ে তারা বাগান করছে বলে সাংবাদিকদের জানায়।যা বিভাগীয় বন কর্মকর্তাও অবগত বলে এ দুজন দাবি করে। দীর্ঘদিন ধরে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয় নানা কায়দায় বনজ সম্পদ উজাড় করে বনবিভাগের জায়গা প্লট আকারে বিক্রি করে ভূমি খেকোদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে এলাকায় প্রচার আছে। এছাড়াও এ রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মেরও অভিযোগ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অভিযান, ঈদগাঁওতে বনবিভাগের, উদ্ধারে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন