parbattanews

ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে নির্বাচন ২৮ এপ্রিল

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের বহুল কাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত নির্বাচনের তফসিল দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদ্বয়ের পৃথক জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ছুটির দিনসহ মনোনয়নপত্র জমা ১৪ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ, বাছাই ১ এপ্রিল, প্রত্যাহার ৮ এপ্রিল ও ভোট গ্রহণ ২৮ এপ্রিল।

উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে পৃথক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

এতে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু সুফিয়ানকে ঈদগাঁও, পোকখালী ও জালালাবাদের রিটার্নিং অফিসার এবং ইসলামপুর ও ইসলামাবাদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়েছে রামু উপজেলা নির্বাচন অফিসার এস.এম. মহীউদ্দিনকে।

রিটার্নিং অফিসারদ্বয় কর্তৃক ১৩ মার্চ পৃথক জারী করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, তখনকার কক্সবাজার সদর উপজেলার আওতাভুক্ত উপরোক্ত পাঁচ ইউনিয়নকে নিয়ে পৃথক ঈদগাঁও উপজেলা গঠন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ বহু আগে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নতুন উপজেলা গঠন সংক্রান্ত আইনি জটিলতার কারণে যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ পরিষদই দীর্ঘ সময় যাবত কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। যার কারণে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে নবগঠিত উপজেলার ভোটার ও জনগণের আগ্রহের প্রহর যেন শেষ হচ্ছিল না।

দেরিতে হলেও সম্প্রতি নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আগামী ১১ মে ঘোষণা করে। এতে জনমনে আশার আলো জ্বলতে দেখা যায়। এতে ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়ে উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সকলে ধারণা করছিল হয়তো এবার অপেক্ষার প্রহর ফুরোবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরই স্থানীয় সরকার কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে।

কিন্তু সবকিছুকে চাপিয়ে আচমকা উপজেলা পরিষদের ভোটের আগেই আগামী ২৮ এপ্রিল নবগঠিত এ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ । এতে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপে সাময়িক ছেদ পড়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপে বিদ্যুৎ গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনমনেও দেখা দিয়েছে বহুল কাঙ্খিত ইউনিয়ন পরিষদের ভোট যথাসময়ে হবে কিনা তা নিয়ে অজানা আশঙ্কা।

তবে সকলে প্রত্যাশা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগণ তাদের ভোটটি পছন্দের প্রার্থীদের দিয়ে আগামীর স্থানীয় সরকার অভিভাবক নির্বাচিত করতে মুখিয়ে আছেন।

Exit mobile version