parbattanews

ঈদগাঁও রমজান ও শাহীন কোম্পানির বিরুদ্ধে গরু ডাকাতির ঘটনায় মামলা

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার রমজান ও শাহীন নামের কথিত কোম্পানিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। এ সংবাদে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে । মুখোশধারী ভাল মানুষের আড়ালে দিন দিন এসব অপকর্ম করে বিশেষ চক্রের ছত্রছায়ায় এরা পার পেয়ে আসছিল। দেরিতে হলেও আইনের আওতায় আসায় এলাকাবাসীর দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে বছরের পর বছর ঈদগাঁও উপজেলাসহ জেলা জুড়ে গরু-মহিষ চুরি ও গরু পাচারের অজানা তথ্য ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ৫ মার্চ রাতে গরু ভর্তি একটি ট্রাক ঈদগাঁও থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাওয়ার পথে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা মালুমঘাট নামক মহাসড়ক এলাকায় পৌঁছলে অস্ত্রধারী কয়েকজন গাড়ির গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে গাড়িসহ গরুগুলো পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এ সংবাদ গরু মালিক ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ইউছুপেরখিল এলাকার মোস্তাক আহমদ জানতে পারলে তিনি চকরিয়া থানা ও ঘটনাস্থলের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় গরু গুলো উদ্ধারের চেষ্টা করে। অভিযানের টের পেয়ে গরু লুটকারী চক্র গরু গুলো ফেরত দিতে দেন দরবার শুরু করে এবং পরে গরু গুলো উদ্ধার হয়।

এ ঘটনায় গরু মালিক মোস্তাক আহমদ বাদী হয়ে বিগত ৭ মার্চ ঈদগাঁও ইউনিয়নের মাইজপাড়ার আবদুল গণির ছেলে ঈদগাঁও বাজার ইজারাদার রমজান প্রকাশ কথিত রমজান কোম্পানিকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এদিকে পৃথক অপর ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ি এলাকার মো. শাহীন প্রকাশ শাহীন কোম্পানি, পিতা- মৃত জাফর আহমদসহ দুইজনকে আসামি করে ৬ মার্চ চকরিয়া থানায় পৃথক অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উক্ত রমজান কোম্পানি বাজার ইজারাকে পুঁজি করে বিশেষ চক্রের ছত্রছায়ায় দক্ষিণ অবৈধ মাদক ব্যবসা, নারী ফুর্তি, চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত ঈদগাঁও বাজারে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লাগামহীন টোল আদায়, যত্রতত্র ভাসমান দোকান স্থাপন, পাচার হয়ে আসা গরু বৈধ করতে অবৈধ গরুর আড়ত ঘর স্থাপন, মায়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরু- মহিষ ঈদগাঁও গরু বাজারের টোকেনে বৈধকরণসহ নানা অপরাধের মহোৎসব চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নাকের ডগায় থেকেও রহস্যময় কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত নিতে দেখা যায়নি। এমনকি এ গরু বাজারের অবৈধ টোকেনে প্রতিদিন ঈদগাঁও উপজেলার পাহাড়ি কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রকাশ্যে নিয়মিত অস্ত্রধারীদের পাহারায় মায়ানমারের গরু পাচার হয়ে আসছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন কার্যকারিতা না থাকায় প্রশাসনের প্রতি দিন দিন জনগণের আস্থার সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Exit mobile version