parbattanews

ঈদগড়-বাইশারী সড়কে অপহৃতরা দীর্ঘ আট দিন পর মুক্তিপণে মুক্ত


বাইশারী প্রতিনিধি :
রামু উপজেলার ঈদগড়-বাইশারী সড়ক থেকে অপহরনের দীর্ঘ আট দিন পর অবশেষে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণে উদ্ধার হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দক্ষিণ বাইশারী এলাকার উসমান গনীর পুত্র মাদ্রাসা ছাত্র সাদ্দাম হোসেন (১৮) ও পূর্নবাসন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম মুন্সির পুত্র ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক নুরুল আমিন (২৪)।

১৪ জুলাই (শুক্রবার) ভোর ৫টায় রামু উপজেলার বেংডেফা নামক এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

অপহৃত সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই কাউছারের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাত দুইটার দিকে রামু উপজেলার ঈদগড়ের বৈধ্যপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রিজার্ভ এলাকায় হাতে হাতে মুক্তিপণের টাকা নেয় সন্ত্রাসীরা। টাকা নেওয়ার এক ঘন্টা পর ফোন করে তাদের বেংডেফা নামক জায়গায় ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায়। পরে ভোর ৫টার দিকে তাদের অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

অপহৃত নুরুল আমিনের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের মুক্তিপন হিসেবে দরকষাকষি শেষে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের শরীরে একটুও শক্তি নেই। বর্তমানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের চোখে, কব্জি এবং মাথায় আঘাত রয়েছে।

অপহরনের পর থেকে নুরুল আমিনের মা-বাবা ছেলের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও জানান তিনি।

গত ৭ জুলাই রামু উপজেলার ঈদগড়-বাইশারী সড়কের অলিরঝিরি এলাকা থেকে রাত দশটায় অপহৃত হয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর সাদ্দাম এবং নুরুল আমিন।

অপহরনের ঘটনার পরদিন রামু থানায় সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই মো. ফোরকান একখানা সাধারন ডাইরী (জিডি) করেন। অপহরনের পর থেকে তাদের উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালিয়েছেন রামু থানা, বাইশারী তদন্ত কেন্দ্র, ঈদগড় পুলিশ, নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি সহ এলাকাবাসী।

Exit mobile version