parbattanews

ঈদুল আযহার আনন্দে মুখরিত পানছড়ি

EID PIC

শাহজাহান কবির সাজু:
সারা পানছড়ি জুড়েই সবুজের সমারোহ। এই সবুজের গা ছুয়েই বার বার শীতল পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে পাহাড়ে জমে থাকা মেঘেরা। এরি মাঝে কোথাও রোদ, কোথাও বৃষ্টি। এ যেন খেক শিয়ালের বিয়ের মত রোদ বৃষ্টির এক লুকোচুরি খেলা। এ প্রানবন্ত মনমাতানো দৃশ্য প্রায়ই ভেসে উঠে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির সবুজ অরণ্যের বুক চিরে।

এবারের পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ বর্ষায় বিলীন হলেও পানছড়ির দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঈদের দিন বিকাল থেকে শুরু হয়েছে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাদের আনাগোনা। বিশেষ করে পানছড়ি উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিনে সবুজে ঘেরা নির্জন গ্রাম শান্তিপুরের বুক চিরে সাপের মতো এঁকে বেঁকে যাওয়া কর্ণফুলীর শাখা চেংগীর বুকে নির্মিত রাবার ড্যাম এলাকাটি জমে উঠেছে বেশ।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় রাবার ড্যাম বেয়ে ঝর্ণার পানি পড়ার দৃশ্য দেখতে আসা দর্শনার্থী পানছড়ি কলোনীপাড়ার বাসিন্দা কৃতি ফুটবলার আরিফ দম্পত্তির সাথে। তারা জানায়, এই রাবার ড্যামে একদিকে পানি জমছে অন্যদিকে ড্যামের উপর দিয়ে ঝর্ণার মত কল কল আওয়াজে পানি বের হচ্ছে এই দৃশ্যটিই নয়নাভিরাম বলে তাদের মন্তব্য। তারা জানায় আসলেই উপভোগ করার মত একটি দৃশ্য। পৌষের হাড় কাপানো শীতে নিজেদের বিলিয়ে দিতে দর্শনার্থী হয়ে আবারও আসা হবে বলে মুচকি হাসি দিয়ে জানালেন দু’জন।

কেরেলা পোশাকে সেজে আসা দু’বন্ধু মানিক ও শফিক রাবার ড্যাম ও শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের দৃশ্য উপভোগে এসেছেন বলে জানায়। তাদের ধারণা শহরের চেয়ে এসব এলাকার দৃশ্যগুলো খুবই সুন্দর, মনমাতানো ও প্রাণবন্ত।

স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানালেন রাবার ড্যাম এলাকাটি সুন্দরের লীলাভূমি হলেও বর্তমানে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে রাবারের সামনে যে কয়টি প্রোডাকশন ফিলার দেয়া হয়েছে সেগুলো এবারের বর্ষায় প্রায় সবগুলো কাত হয়ে গেছে। যার ফলে পানিতে ভেসে আসা বড় বড় গাছের আঘাতে যে কোন মুহুর্তে রাবার ছিড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রশাসনকে সু-দৃষ্টি দিয়ে রাবার ড্যামটিকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে তারা মনে করছেন।

Exit mobile version