টেকনাফ প্রতিনিধি:
একাধারে কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর নতুন করে অপরূপ সাঁজে সেঁজেছে দ্বীপের ছোট বড় শতাধিক হোটেল এবং সৈকত। ঈদের পরের দিন টেকনাফ -সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজ চলাচল করার প্রস্তুত রয়েছে। ঈদের ৩দিনের ছুটি কাজে লাগানোর জন্য বহু পর্যটক সেন্টমার্টিনদ্বীপে বেড়াতে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে টেলিফোনে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন উক্ত তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অনেক দিন পরে হলেও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় দ্বীপের মানুষ খুশি হয়ে উঠেছে। দ্বীপের অনেক হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি টেকনাফের অনেক আবাসিক হোটেলও অগ্রীম বুকিং হয়ে গিয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে আবাসিক-অনাবাসিক ছোট বড় শতাধিক হোটেল মোটেল ও কটেজ আছে।
গত বছর এসব হোটেল ও কটেজের সংখ্যা ছিল তার অর্ধেক। সেন্টমার্টিনদ্বীপ আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির এক নেতা কাজী ফিরোজ জানান, পর্যটকবাহী জাহাজ চালু হলে পযর্টকের ঢল নামবে। এজন্য দ্বীপের আবাসিক ও খাবার হোটেল এবং সমুদ্র সৈকতকে নতুন করে সাঁজানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, সেন্টমার্টিনদ্বীপে নতুন পুরাতন মিলে শতাধিক হোটেল এবং কটেজ রয়েছে। এসব হোটেল এবং কটেজ অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপে উল্লেখযোগ্য হোটেল এবং কটেজগুলোর মধ্যে প্রিন্স হেভেন, আল বাহার, প্রাসাদ প্যারাডাইজ, কক্সবাংলা, রোজ মেরী, ব্লু মেরীন রিসোর্ট, ডলফিন, সী আইল্যান্ড, সী ব্লু, ব্লু সী, ব্লু মুন, সীমানা পেরিয়ে, অবকাশ, ড্রীমনাইট, সিটিবি, ডায়মন্ড, আইল্যান্ড প্রাসাদ, প্রিন্স আলবাহার, ঊশান ভিউ, সমুদ্র বিলাস, স্বপ্নপুরী, স্বপ্ন বিলাশ, সাগর বিলাস, জলপরী, নীল দিগন্ত, নাবিবা বিলাস, পান্না রিসোর্ট, কোরাল ভিউ, সেন্ট রিসোর্ট, রেহানা কর্টেজ, ময়নামতি, দেওয়ান কটেজ, গ্রীন ল্যান্ড, মুজিব কটেজ, শাহজালাল কটেজ, রেজা কটেজ, রিয়াদ রেস্ট হাউস, বে অব বেঙ্গল অন্যতম।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ছিদ্দিকুর রহমান জানান, দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের বরণ করতে সদা প্রস্তুত। সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দেশি বিদেশি পর্যটকরা নিরাপদে দ্বীপ ভ্রমণ করতে পারবে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল আমিন জানান, দ্বীপের মানুষ সবসময় পর্যটক বান্ধব। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও পর্যটন মৌসুমে যাতে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলাসহ সব বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
