parbattanews

ঈদে ঘরমুখো এনজিওকর্মীরা, ফাঁকা হয়ে উঠেছে উখিয়া

উখিয়ার ব্যস্ততম স্টেশন এখন ফাঁকা

ঈদের ছুটিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত দেড় শতাধিক এনজিও, আইএনজিও সংস্থা ২৫ হাজার কর্মী ঘরমুখো। তারা এবার ঈদ করবেন নিজ বাড়িতে। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও, আইএনজি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ব্যবহৃত ৫ হাজারের অধিক যানবাহন গেছে বিশ্রামে। যার ফলে ফাঁকা হয়ে উঠেছে উখিয়া। দীর্ঘ ২ বছর পর কিছুটা সময়ের জন্য স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে এখানকার মানুষ। তবে ঈদ বাজারে ক্রেতা কমে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে এদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে নতুন-পুরাতন মিলে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা রয়েছে উখিয়া-টেকনাফে। এদের সেবায় নিয়োজিত আছে দেড় শতাধিক এনজিও, আইএনজিও সংস্থা। তাদের লোকবল রয়েছে ৩০ হাজারের অধিক। তৎমধ্যে ২৫ হাজার এনজিওকর্মীর বাড়ি কক্সবাজার জেলার বাইরে। যারা ভাড়া বাসায় গত ২ বছর ধরে উখিয়ায় অবস্থান করে আসছে। তাদের পরিবহনে ব্যবহৃত ৫ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে থাকে উখিয়ার সড়কের উপর দিয়ে। যার কারণে যানজটের শহরে পরিনত হয় উখিয়ায়।

শনিবার সকাল থেকে পাল্টে যায় উখিয়ার দৃশ্য। নেই কোথায়ও যানজট এবং মানুষের ভীড়। অনেকটা ফাঁকা হয়ে উঠেছে উখিয়া। তবে ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছে ব্যবসায়ীরা।

সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার জানান, ঈদে এনজিওকর্মীরা ছুটিতে যাওয়ার কারণে ফাঁকা হয়ে উঠেছে উখিয়া। তবে ক্রেতা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

উখিয়ার জিএম কমপ্লেক্স এর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সরওয়ার আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে বেচাকেনা ছিল, তার অর্ধেকও হয়নি শুক্রবার ও শনিবার বিকেল পর্যন্ত।

এনজিও সংস্থা ব্রাকে ফিল্ডে অফিসার পদে কর্মরত সেলিম জানান, শুক্রবার গাড়ির টিকেট না পাওয়ায় সে শনিবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। সিনিয়র পোস্টের দুই/চারজন ছাড়া আর কেউ কর্মস্থলে নেই বলে সে জানায়।

কিন্তু স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত এনজিও, আইএনজিও গুলো ছুটি সাধারণ কম দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের হেলথ কো-অর্ডিনেটর ডাঃ আবু তোহা মোঃ আর হক ভূঁইয়া জানান, মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব হিসাবে ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও, আইএনজিও সংস্থার কর্মীদের মধ্যে রুটিন বেঁধে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে ডেঙ্গুর বিষয়টি মাথায় রেখে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের মধ্যে আউটডোরের কিছু কর্মীকে ছুটি দেওয়া হলেও বাকীরা কর্মস্থলে নিয়োজিত রয়েছে। তাছাড়া বিদেশী ডাক্তার,নার্স গুলো সার্বক্ষনিক কর্মরত থাকবে।

Exit mobile version