ঈদে নানা প্রস্তুতি কাপ্তাইয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলো
রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো নানান রঙে সাজানো হয়েছে। কাপ্তাই-চট্রগ্রাম সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে চল অপরূপ সৌন্দর্য কর্ণফুলী নদী। দু’পাশে রয়েছে পাহাড় আর সৌন্দর্য সবুজ গাছ। কর্ণফুলী নদীর একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম কাপ্তাই লেক। উঁচু-নিচু পাহাড়, পাহাড়ের পাশে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা শীতল জলের ঝর্ণা। কর্ণফুলী নদীর পাশে গড়ে উঠা অনেক পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র।
প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ঢল নামতে দেখা যায়। গত ২ বছর করোনার কারণে পর্যটক শূন্য ছিল কাপ্তাইয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলো এবং ব্যবসায় ব্যাপক ধস নেমেছে। করোনার প্রভাব কম থাকায় ঈদের একসাপ্তাহ ছুটিতে আসছে অনেক ভ্রমণপিয়াসু। বিনোদন কেন্দ্রগুলো নতুনভাবে ইতিমধ্যে সাজানো হয়েছে। যার ফলে গত দু’বছরপর কাপ্তাইয়ে পর্যটন ব্যবসার ধস কাটিয়ে উঠবে বলে বিনোদন পরিচালকরা মত প্রকাশ করছে।
কাপ্তাই উপজেলায় বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম কাপ্তাই শিলছড়ি প্রশান্তি পার্ক, ওয়াগ্গা প্যানোরোমা জুম রেস্তোরা, শিলছড়ি বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্র, লেক প্যারাডাইস, লেকশোর পিকনিক স্পট, লেকভিউ পিকনিক স্পট, শিলছড়ি নিঃসর্গ রিভার ভ্যালি, পাহাড়িকা পিকনিক স্পট, কাপ্তাই রিভার ভিউ পার্ক ।
কাপ্তাই শিলছড়ি বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্হাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রুবাইয়েত আক্তার জানান, করোনা ভাইরাসের ফলে বিগত ২ বছর পর্যটন ব্যবসায় মন্দা ছিল। এবছর আমরা আশা করছি হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটবে।
এদিকে কাপ্তাই বালুচরে অবস্থিত প্রশান্তি পিকনিক স্পট পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, কাপ্তাইয়ের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পর্যটন মৌসুম ছাড়াও সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা হতো। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামে বেশি। ঈদকে সামনে রেখে আমরা নতুন রুপে সাজিয়েছি প্রশান্তি পার্ককে। পর্যটকরা ঈদে এসে ভিন্নতার স্বাদ পাবে। কর্ণফুলী নদীতে কায়াকিং করতে পারবেন পর্যটকরা।