ঈদে রাঙামাটিতে ২ কোটি টাকার বাণিজ্য

fec-image

করোনা পরিস্থিতিতে দুই বছর ঈদে রাঙামাটির পর্যটনস্পটগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এবার সেই নিষেধাজ্ঞা না থাকায় পাহাড়, হ্রদ ও ঝর্নার দেশ রাঙামাটিতে ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণা ছিল চোখে পড়ার মতো।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, রাঙামাটিতে ঈদের দিন মঙ্গলবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটির শেষদিন শনিবার পর্যন্ত পাঁচদিনে প্রায় দুই কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আশানুরূপ পর্যটক এবার ঈদে হয়নি।

রাঙামাটি পর্যটক করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, এবার ঈদে যে পরিমাণ পর্যটক আসার কথা সে পরিমাণ হয়নি। এরপরও ঈদের দিন থেকে গত শনিবার পর্যন্ত পাঁচদিনে প্রায় ১৮ লাখ টাকার ব্যবসা হয়েছে। এর মধ্যে ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশের টিকিট দেড় লক্ষাধিক টাকা, পর্যটন কমপ্লেক্সের রুম ভাড়া ও খাবারসহ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী লেন, ঈদের প্রথম দুদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে পর্যটক তেমন একটা পাইনি। পরের তিনদিন প্রতিদিন ৫০-৬০টা করে বোট কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণ করেছে। সে হিসেবে পাঁচদিনে কম-বেশি চার লাখ টাকা আয় হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তবে পর্যটকরা শুধুমাত্র পর্যটন ঘাট থেকে ভ্রমণ করেন না, রিজার্ভ বাজার জেটিঘাট থেকেও অনেক পর্যটক বোট নিয়ে কাপ্তাই হ্রদ ঘুরে বেড়ান। সে হিসেবে বোটভাড়ায় আরও কয়েক লাখ টাকা যোগ হবে।

এদিকে জেলা পুলিশের পরিচালিত পলওয়েল পার্কেও প্রচুর দর্শনার্থী সমাগম হয়েছিল। পার্ক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনই পার্কে চার থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছেন। সে হিসেবে পাঁচ দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যটক পার্কে প্রবেশ করেন। ৩০ টাকা হারে প্রায় ছয় থেকে সাত লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। আবার পার্কের কটেজ ও খাবারদাবারসহ সব মিলে ১৫-২০ লাখ টাকার ব্যবসা হয়েছে।

রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দীন সেলিম বলেন, রাঙ্গামাটি শহরে মোট ৫৩টি হোটেল রয়েছে। ৫৩ হোটেলের প্রায় দুই হাজার রুমে পাঁচ হাজার পর্যটক থাকতে পারে। ঈদের পরদিন থেকে শনিবার পর্যন্ত চারদিন প্রায় ৭০ শতাংশ হোটেল বুকিং ছিল। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১৪০০ রুম ভাড়া ছিল। এসি-নন এসি মিলিয়ে গড়ে প্রত্যেক রুম এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা ভাড়া ধরা হলেও প্রতিদিন ভাড়া বাবদ আয় হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে চারদিনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার রুম ভাড়া হয়েছে।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাঙ্গামাটি শহরের ৫০টি রেস্টুরেন্টে মোটামুটি ব্যবসা হয়েছে। এছাড়া টেক্সটাইলসহ সব মিলিয়ে এবার ঈদে রাঙামাটিতে প্রায় দুই কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে সাজেক ভ্যালির পর্যটন এলাকা এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা দ্বিগুণেরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সূত্র: জাগোনিউজ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন