parbattanews

ঈদ আসে ঈদ যায় বিরোধী দলের আন্দোলন চোখে দেখিনা- ওবায়দুল কাদের

Bandarban pic- 7.9.2013

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধীদল আন্দোলনের হুংকার দিচ্ছে আবার তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে পুরোদমে। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ৪ বছরের বিরোধীদল অনেক চেষ্টা করেও আন্দোলনের পালে হাওয়া লাগাতে পারেনি, সেখানে বিরোধীদলের নির্বাচনে অংশগ্রহন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তিনি বিরোধীদলকে ইঙ্গিত করে বলেন, ঈদ আসে ঈদ যায় বিরোধীদলের আন্দোলন চোখে দেখিনা এটা বিরোধীদলের ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি বলেন, গত রোজার ঈদের পর বিরোধীদল হুংকার দিয়ে বলে ছিল আন্দোলনে সরকারি দল পালানোর পথ পাবেনা। রোজার ঈদ এর মধ্যে এক মাস পার হয়ে গেলেও বিরোধীদলের আন্দোলন দেখছেনা জনগন, বিরোধীদলের আন্দোলনের ফাপানো বেলুন আবারো চুপসে গেছে। আমরা মনে করেছিলাম ঈদের পর সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে, আবার শুনছি কোরবানের ঈদের পর আন্দোলন শুরু করবে বিরোধীদল। কোরবানের ঈদের পর নির্বাচন। তিনি বিরোধীদলের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্বাচনের সময় আন্দোলন কেন? দেশের মানুষ আর সহিংস আন্দোলন চায়না দেশের জনগন শান্তি পূর্ণ নির্বাচন চায়।

তিনি আশা করেন সংবিধান অনুযায়ী ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদল অংশ গ্রহন করবে এ নিয়ে উদ্ভেগের কোন কারন নেই। আওয়ামীলীগও বিরোধীদল ছাড়া ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়না। আজ শনিবার সকালে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন যোগাযোগ মন্ত্রী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপিসহ সড়ক বিভাগের অতিরক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুনায়েদ আহসান শিবির উপস্থিত ছিলেন।

শান্তিচুক্তি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার শান্তি চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে এবং প্রতিটি অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করছে। এর ধারবাহিকতায় ২২টি সড়ক তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু জেলা পরিষদের অবকাঠামোগত সক্ষমতা, পযাপ্ত পরিমান যন্ত্রপাতি না থাকায় সড়কগুলোর মেরামত কাজ করতে পারেনি। এলাকার জনদূভোগ ও ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পার্বত্য জেলা পরিষদ জেলার ২২টি সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের কাছে আবারো হস্তান্তর করেছে।

পরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রসন্ন কান্তি তংঞ্চগ্যার সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধান বক্তা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাসান মাহামুদ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা।

Exit mobile version