ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও অবকাশ কেন্দ্র ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। কক্সবাজারের অন্যতম পাঁচ তারকা হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টটি সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ফেসবুকে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে।
পর্যটকদের জন্য ‘ঈদ রিক্রিয়েশন প্যাকেজ’ প্যাকেজ চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে তাদের ফেসবুক পেইজে।
সরকারি বিধি-নিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কিন্তু ইতোমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এজন্য পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে দায়ী করেছিলেন। তিনি বারবার বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে।
সায়মন বিচ রিসোর্টের মুখপাত্র আহসানুল হোসেন বলেন, হোটেল বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। “কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের বলা হয়েছে হোটেল ক্যাপাসিটির ফিফটি পার্সেন্ট গেস্ট থাকতে পারবে। সেজন্য আমরা ঈদ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। তাছাড়া আমাদের হোটেলে নিয়মিত অনেকেই থাকেন যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজের সাথে জড়িত। তিনি দাবি করেন, ঈদ প্যাকেজ ঘোষণা করে তারা সরকারের কোন নিয়ম ভঙ্গ করেননি।
কক্সবাজারে একটি হোটেলে কর্মরত একজন কর্মী জানান, কক্সবাজারের অনেক আবাসিক হোটেল তাদের কাজ চালু রেখেছে। তিনি জানানা, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কেউ-কেউ বিভিন্ন উপায়ে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে কক্সবাজার আসছেন। সেক্ষেত্রে হোটেলগুলো অতিথিদের ফিরিয়ে দিচ্ছে না।
তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বলছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য সরকারি বিধি-নিষেধ অনুযায়ী কোন আবাসিক হোটেল খোলা থাকার কথা নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল বলেন, বর্তমানে কক্সবাজারসহ সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ। “প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা হোটেলগুলোকে বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। এসব হোটেলে কোন পর্যটক থাকতে পারবে না।”
জাহিদ ইকবাল বলেন, সরকারি বিধি-নিষেধ অনুযায়ী ফেসবুকে ‘ঈদ প্যাকেজ’ নিয়ে প্রচারণার সুযোগ নেই।