parbattanews

উখিয়ায় অস্ত্রসহ আরসার ৩ কমান্ডার গ্রেপ্তার: র‍্যাব

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৩ কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মৌলভী হামিদ হোসেন ওরফে ডা. হামিদ আরসার ‘স্লিপার সেল’ এবং ওলামা পরিষদের প্রধান। আবু তৈয়ব ওরফে সোনা মিয়া বাহিনীটির অর্থ বিষয়ক সমন্বয়কারী এবং ওসমান গনি আরসার গোয়েন্দা কমান্ডার।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোববার মধ্যরাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় র‍্যাব-১৫ এর একটি দল ১৭ নম্বর ক্যাম্প থেকে হামিদ ও তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে। আর ওসমান গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪ নম্বর ক্যাম্পের বর্ধিত এলাকা থেকে। তাদের কাছ থেকে বোমা, স্থানীয়ভাবে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ আরও বলেন, হামিদ তার বাবার মতো পেশায় একজন গ্রাম্য ডাক্তার। শিক্ষিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে তার প্রভাব রয়েছে। তিনি আরসার ওলামা পরিষদের প্রধান সালমান মুরব্বির ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আরসার সদস্য সংগ্রহ করার কাজে তিনি সক্রিয় ছিলেন। সালমান মুরব্বি গ্রেপ্তার হওয়ার পর হামিদ তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনিই আরসার স্লিপার সেল গঠন করেন। আরসায় ৬০ জন সদস্য সংগ্রহ করেছেন তিনি।

গ্রেপ্তার আরসার প্রধান অর্থ সমন্বয়ক আবু তৈয়ব ওরফে সোনা মিয়া ওরফে সোনালী ২০১৮ সালে আরসার সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তারা মোটা অংকের অনুদান পেয়ে থাকে। বৈদেশিক অনুদানসহ আরসার নিজস্ব অর্থের উৎস হিসেবে ৬ এবং ৭ নম্বর ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে ৩৮টি দোকান স্থাপন করে ভাড়া দেন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত ২৫০ থেকে ৩০০টির মতো দোকান হতে প্রতিমাসে চাঁদা বাবদ লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

অধিনায়ক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ওসমান গনি আরসার একজন সক্রিয় সদস্য। তথ্য-প্রযুক্তি এবং ইংরেজি ভাষায় তার বেশ দক্ষতা থাকায় তিনি আরসা’র তথ্য-প্রযুক্তির বিষয় দেখভাল করেন। এই সুযোগে তিনি ক্যাম্পে পরিচালিত এনজিও ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য আরসা’র শীর্ষ নেতাদের সরবরাহ করেন। পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতির খবরাখবর পৌছে দেন। তাছাড়া বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধি লক্ষ্য রাখেন। কোনো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করলে গ্রুপের সদস্যরা গ্রুপে মেসেজ দিয়ে সকলকে সতর্ক করে দেন।

তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

Exit mobile version