parbattanews

উখিয়ার কুতুপালংয়ে বাঁশবোঝাই ট্রাক উল্টে সড়কে দীর্ঘ যানজট

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দক। তবুও বিকল্প কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। পাশাপাশি ভারী যানবাহন গুলোও চলছে নিয়মিত।

শনিবার(২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ব্রাক অফিস সংলগ্ন সড়কে একটি বাঁশবোঝাই ট্রাক উল্টে গিয়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এতে দুরপাল্লার যাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং অফিসমূখী চাকরিজীবীরা পড়েছে দুর্ভোগে। তবে প্রায় ৩ ঘন্টা পর বেলা সাড়ে ১১টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছে কুতুপালংয়ের স্থানীয় লোকজন।

জানা গেছে, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে এদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সেবা নামের দেড় শতাধিক এনজিও’র অন্তত ৫হাজারের অধিক যান বাহন প্রতিনিয়ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে দীর্ঘ ৭৯ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট হয়ে খানা-খন্দক। সৃষ্ট খানা খন্দকে প্রতিনিয়ত আটকা পড়ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ি। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৭ জুলাই)সকালে সড়কের বাঁশ বোঝাই ট্রাক উল্টে যানজটের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

কুতুপালং এলাকার হেলাল উদ্দিন জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কুতুপালং ব্রাক অফিসের পাশে শনিবার সকালে একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক খাদে পড়ে উল্টে যায়। এসময় দু’পাশ দিয়ে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় দীর্ঘ ৩ ঘন্টা পর দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ীটি রাস্তা থেকে সরানো হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সাইফুল ইসলাম নামের এনজিও সংস্থা ব্রাকের একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের গাড়ি আটকা পড়াটা প্রতিদিনের দৃশ্য এটি নতুন কিছু নয়। প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সড়কের এহেন পরিস্থিতির কারনে জনদূর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।

থাইংখালী এলাকার আলী আহমদ নামের আরেক ব্যক্তি জানান, সে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। আগে যেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে উখিয়ায় আসতে সক্ষম হত, সেখানে বর্তমানে দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগে। তার একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রয়েছে সে আসা-যাওয়া করতে সময় ক্ষেপন হওয়ায় কলেজ আসতে চায়না বলে অভিযোগ করেন।

সে আরও জানায়, উখিয়া-টেকনাফ সড়কে সকালে মালবাহী গাড়ি চলাচল করায় অফিস টাইমে যানজট সৃষ্টি হয় ফলে চাকরিজীবীরা যথাসময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারে না। মালবাহী গাড়ি চলাচলের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া গেলে যানজট ও জনদুর্ভোগ কমবে বলে মনে করেন সে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি সংস্কারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও সড়কের যানজট এবং দুর্ভোগ রোধে বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version