parbattanews

উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জের উপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলা, গুলিবর্ষণ, আটক-১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এই ছবিটি তুলেছেন নিউইয়র্ক টাইমসের এডাম ডিন

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং টু-ইস্ট ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প ইনচার্জের উপর হামলা করেছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা সিআইসি এবং আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করলে আনসার সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে আনসার বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের সময় এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা কুতুপালং টু-ইস্টে সরকারি বনভূমির জায়গায় প্রশাসনের অনুমতি বিহীন ৬০টি দোকান শেড নির্মাণ করছে। খবর পেয়ে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) মো. খলিলুর রহমান খান আনসার সদস্যদের নিয়ে দোকান শেড ভাঙ্গতে যায়। তখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়ে প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পরে গুলি বর্ষণ করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হয়। তাদেরকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে নাম পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ঘটনা সম্পর্কে কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশের (আইসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্প ইনচার্জ আনসার সদস্যদের নিয়ে অবৈধ নির্মিত দোকান-পাট ভাঙ্গতে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ইট-পাটকেল, গুলি বর্ষণ করেছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুতুপালং ক্যাম্প ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ক্যাম্পে কোন প্রকার ঘর, দোকান-পাট নির্মাণ করতে পারবেনা রোহিঙ্গারা। সেই নিয়ম না মেনে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং টু-ইস্ট ক্যাম্পে ৫০/৬০টি সেমিপাকা দোকান শেড নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। যার প্রেক্ষিতে আনসার সদস্যদের নিয়ে উক্ত দোকান শেড ভাঙ্গতে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কলিম উল্লাহ এবং জাবের আহমদের নেতৃত্বে শতাধিক রোহিঙ্গা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর ইটপাটকেলসহ গুলি বর্ষণ করে। এসময় আমরাও আত্মরক্ষার্থে ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করি। তিনি আরও জানান,অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত বশির আহমদ নামের এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। সে কুতুপালং টু-ওয়েস্টের বাসিন্দা গুরা মিয়া ছেলে।

অভিযোগ উঠেছে, কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে হাফেজ জালাল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়ে গেছে। হাফেজ জালাল সিআইসি’র ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন বিদেশী নিষিদ্ধ ঘোষিত এনজিও নিকট থেকে বিপূল পরিমাণ অর্থ এনে আত্মসাৎ করে থাকে। তার নেতৃত্বে ক্যাম্পে ইয়াবা, মানবপাচার, মাদক, চোরাচালান থেকে শুরু করে নানান ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটে আসছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের অভিমত।

Exit mobile version