parbattanews

উখিয়ার জালিয়াপালং ইউপি কার্যালয়ে হামলা, আহত-৩

উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে মহিলা মেম্বারের ছেলের নেতৃত্বে উশৃংখল একদল যুবক। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার অফিস ভাংচুর চালিয়েছে।

এতে বাঁধা দিতে গিয়ে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও চকিদার সহ তিন জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা রফিক উল্লাহ (২৮), পরিষদের চকিদার আবু ছিদ্দিক (৩৫) ও নাসির (৩২)। এরমধ্যে রফিক উল্লাহ অবস্থা আশংকাজনক। তাকে প্রথমে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে তুচ্ছ ঘটনায় স্থানীয় মহিলা মেম্বার জুলেখা বেগম ও নুরুল ইসলাম জুনুর সন্ত্রাসী ছেলে মো: শাহাজাহানের নেতৃত্বে সোনারপাড়া এলাকার মীর আহমদ ওরফে মিরু বলীর ছেলে আবছার, মৃত ফজল আহমদের ছেলে সৈয়দুল হক ও আব্দুল সালামের ছেলে ফয়সাল সহ ১০/১২জনের একটি সন্ত্রাসীদল অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় ডিজিটাল উদ্যোক্তা রফিক উল্লাহকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারিরা রফিক উল্লাহ চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা চালায়। এসময় তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে পরিষদে থাকা চকিদার আবু ছিদ্দিক (৩৫) ও নাসির (৩২) কে ব্যাপক মারধর করা হয়।

পরে হামলাকারিরা বীরদর্পে চলে গেলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা অবনতি হলে রফিক উল্লাহকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এঘটনা উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরীর নজরে আসলে সন্ত্রাসীদের তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তার করার জন্য উখিয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে রফিক উল্লাহ বাদি হয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন থানায়।

জানতে চাইলে উখিয়া থানার ওসি মো: আবুল মনসুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রফিক উল্লাহ বাদি হয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। বাদি এবং বিবাদী উভয় পক্ষ মিমাংশা হয়ে যাওয়ার কথা শুনা যাচ্ছে।

এরপরও যদি বাদি মামলা করতে ইচ্ছুক আমরা অবশ্যই মামলা নিব। কারণ, হামলা কারিরা সরকারি কাজে বাঁধা দিয়েছেন এবং অন্যায়ভাবে আহত করা হয়েছে।

এব্যাপারে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর বক্তব্য নিতে দুইদিন ধরে মোবাইলে যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক অনেকে জানিয়েছেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী উক্ত সন্ত্রাসীদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন। অবশ্য, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়াম্যানম্যানগন উক্ত ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

Exit mobile version