parbattanews

উখিয়ার ঠান্ডা আবহাওয়ায় শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

টানা ঝড়-বৃষ্টি ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে উখিয়ায় বেড়েছে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, শীত আর তীব্র গরমে যেমন শ্বাসকষ্ট হয়, ঠিক তেমনি ভাবে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে  শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস রোগী দেখা দিয়ে থাকে। এ কারণে ঠান্ডার সময় বৃদ্ধ ও শিশুদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

সরেজমিন উখিয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসা নিতে আসা রাজাপালং ইউনিয়নের জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বারী পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল (৪০) নামের এক ব্যক্তি জানায়, দীর্ঘদিন থেকে সে শাসকষ্ট রোগে ভূগছেন । তবে বিশেষ করে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে এ রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাই চিকিৎসা নিতে এসেছি। তার সাথে এসেছেন একই এলাকার জাহেদ আলম (৫৭) নামের আরেকজন ভাইরাস রোগী। সে জানায়, ঝড়-বৃষ্টি ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে গত ৩ দিন ধরে ভাইরাস জ্বরে ভুগছেন সে। সেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছেন।

হাসপাতালের শিশু বিভাগ (নিমানিশু) তে গিয়ে দেখা যায়, সর্দি, কাশি আর প্রচন্ড জ্বর নিয়ে ২ মাসের শিশু সন্তানের পাশে বসে আছে রত্নাপালং ইউনিয়নের কামাল উদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা আক্তার (২৩)। তার সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, ২ মাসের মাথায় এই প্রথম তার সন্তান অসুস্থ হয়েছে। তাও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানিয়েছেন, ‘একজন রোগীর শ্বাস স্বাভাবিক থাকার জন্য টেম্পারেচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা অ্যাজমার রোগী, তাদের ক্ষেত্রে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াম টেম্পারেচারের ডিফারেন্স হলেই অ্যাজমার অ্যাটাক হতে পারে।’  ‘এখন যে পরিমাণ ঠান্ডা তাতে এ রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। সঙ্গে সর্দি, কাশি এগুলোও হয়। অনেকে ভোগেন শ্বাসকষ্টে।’

হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত ২ সপ্তাহ ধরে যে সমস্ত রোগীরা সেবা নিতে এসেছে, তৎমধ্যে বেশির ভাগ রোগী হচ্ছে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস জনিত রোগী। এদের অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও অনেককে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যার অ্যাজমা আছে ঠান্ডা পড়লে তার শ্বাসকষ্ট হবে। এটা রোগীর সংবেদনশীলতার ওপর নির্ভর করে। যত আদ্রতা বেশি হবে শ্বাসনালী ততো বেশি সংবেদনশীল থাকে। আদ্রতা বেশি হলে মাইট (জীবাণু) বেশি হয়। এরা অ্যাজমা রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়।’পাশাপাশি ভাইরাসও হতে পারে।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, স্বাভাবিক ভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া স্থায়ী হলে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বেশ কিছু দিন ধরে এ রোগীর সংখ্যা এখানেও বেড়েছে। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয়দের তুলনায় রোহিঙ্গা রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তিনি বলেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে এসব রোগীদের সুস্থ করে তুলা হচ্ছে। সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

Exit mobile version