parbattanews

উখিয়ার পালংখালী বাজারের খাল দখল করে দোকান নির্মাণ

উখিয়া উপজেলার পালংখালী বাজারে অবস্থিত খালটির দু’পাশ থেকে এক সাথে অবৈধ দখল শুরু হয়েছে। এক শ্রেণীর দখলদার ক্ষমতার দেখিয়ে খালটি দখল করে দোকান স্থাপনেরর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আর এদিকে খাল দখলের মহোৎসব চললেও কারো কোন খবর নেই। তবে স্থানীয় লোকজন জানালেন এভাবে চলতে থাকলে খালটি নব্যতা হারিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে অস্থিত্বহীন হয়ে পড়বে।

সরেজমিন পালংখালী এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সময় খালটিতে জোয়ার-ভাটা ছিল। খালটি পালংখালী বাজারের বুক চিড়ে নাফনদীর সাথে একত্রিত হয়েছে। এই খালের পানি দিয়ে কয়েক একর জমিতে বোরো চাষাবাদ হতো।

কিন্তু এখন খালটি মরা খালে পরিনত হয়েছে। খালের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে উত্তর-দক্ষিণ দিকে এক কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। প্রায় খালের অর্ধেক দখল করে এমনভাবে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে, যা সবার জন্য উদ্বেগজনক।

অবৈধ দখলদারের তালিকায় রয়েছে শতাধিক প্রভাবশালী। তারা সবাই খালের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা (দোকান) তৈরি করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ পাকা পিলার আবার কেউ কাঠের খুঁটি দিয়ে স্থাপনা তৈরি করছে বলে বাজারের অন্যান্য ক্রেতারা জানায়।

পালং বাজার কমিটির নোতারা জানান, পালংখালী বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য একমাত্র মাত্র ছিল খালটি। বর্তমানে সেই খালে পিলার বসিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে কতিপয় প্রভাবশালীরা। তারা দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী মোঃ শফিক জানান, একসময়ে খালটি অনেক বড় ছিল। কিন্তু দখল দূষণের কারণে খালটি ছোট হয়ে গেছে। এ খালের পানির চলাচলের কারণে ফসলি জমিতে যে পলিমাটি পড়ত তাতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়ে ফসল অনেক বেশি হতো। কিন্তু বর্তমানে সে রকম পলিমাটি না পড়ায় ফসলও আগের চেয়ে অনেকাংশে কম হচ্ছে।

উখিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আমিমুল এহসান খান বলেন, খালটি পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version