উখিয়ার বালুখালিতে দোকান লুটপাটের অভিযোগ ক্যাম্প ইনচার্জের বিরুদ্ধে
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে দোকানপাট ভাংচুর, নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ৯নং ক্যাম্প ইনচার্জের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জের ধরে দোকান-পাট বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়’টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বালুখালী পানবাজার স্টেশনে সড়কের উভয় পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন শতশত স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ।
এসময় বালুখালী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফরিদুল আলম বলেন, বালুখালী ৯নং ক্যাম্পের সিআইসি (ক্যাম্প ইনচার্জ) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভ্যান্তরে যে সমস্ত স্থানীয়দের দোকানপাট ছিল তা বিনা কারণে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি৷ যার কারণে এখন ক্যাম্পের বাইরে এসে দোকান লুট করেছে৷
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলী আহাম্মদ মেম্বার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যাম্প ইনচার্জ কিভাবে ক্যাম্পের বাইরে এসে স্থানীয়দের দোকান লুট করে, এটি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার প্রশ্ন।
বালুখালী পানবাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ছোটন বলেন, বেলা ১১টার দিকে বালুখালী ৯নং ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ তানজিমের নেতৃত্বে এপিবিএন পুলিশ বন্ধ অবস্থায় আমার দোকানের তালা ও রড কেটে ভিতরে ঢুকে ৭ বস্তা চাউল এবং নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় পাশ্ববর্তী আরো কয়েকটি দোকানে লুটপাট চালিয়েছে সিআইসি৷ সে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
দুপুরের দিকে পরিস্থিতি উত্ত্যপ্ত হয়ে উঠলে বালুখালী ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাপ্পী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী দের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেন৷
এ ব্যাপারে বালুখালী ৯নং ক্যাম্প ইনচার্জ মো. তানজিম দোকানপাট ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ডাব্লিউএফপি’র শপের পাশের কয়েকটি দোকানে অভিযান করা হয়েছে।