parbattanews

উখিয়ায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য: প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক

হুন্ডি

উখিয়া প্রতিনিধি ॥
উখিয়ায় সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ হুন্ডি ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ঈদ কে সামনে রেখে অবৈধ ভাবে হুন্ডির টাকা প্রকাশ্য ভাবে লেনদেন হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ও পুলিশকে ম্যানেজ করে শক্তিশালী সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রতিদিন হুন্ডির মাধ্যমে আসা লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে বিতরণ করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমান বৈদেশিক আয় বা রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক মানি লন্ডারিং ও হুন্ডির মাধ্যমে আসা অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধ করতে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এমনকি হুন্ডির লেনদেন কে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হুন্ডির মাধ্যমে আসা টাকা লেনদেনকারী বা হুন্ডির ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান সহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধান চালু করে।

নির্ভরযোগ্য তথ্যে প্রকাশ দেশের প্রতিটি উপজেলায় হুন্ডি ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট সদস্যদের নাম ঠিকানা তালিকা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চল উখিয়ায় হুন্ডি ব্যবসা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রভাবশালী হুন্ডি সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া ভাবে হুন্ডির টাকা বিতরণ করে যাচ্ছে। অভিযোগে প্রকাশ উত্তর পুকুরিয়া গ্রাম, উখিয়া হাজী পাড়া গ্রাম, চাকবৈঠা গ্রাম, তেলী পাড়া গ্রাম, জালিয়াপালং পাইন্যাশিয়া গ্রামের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে উখিয়ায় ২০/২৫ সদস্যের বিশাল একটি হুন্ডি টাকা বিতরণের সিন্ডিকেট রয়েছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উখিয়ার প্রায় শত শত লোক সৌদি আরব, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত এসব প্রবাসীরা তাদের উপার্জিত টাকা ব্যাংকিং লেনদেনের পরিবর্তে বেশী ভাগ অবৈধ ভাবে হুন্ডির চ্যানেলে পাঠানো হয়। হুন্ডি ব্যবসার গডফাদারদের নেতৃত্বে পরিচালিত সিন্ডিকেট পুরো হুন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। প্রতিদিন এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ১০ লক্ষ টাকার অধিক হুন্ডির টাকা বিতরণ করা হয়। শুধু তাই নয় ভয়াবহ ইয়াবা ব্যবসার টাকাও হুন্ডির মাধ্যমে বিতরণ করছে এ সিন্ডিকেট। তন্মধ্যে এদের কেউ কেউ আবার ইয়াবা ব্যবসায়ও জড়িত বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কোটবাজার ফজল মার্কেটের একটি বিকাশ এজেন্টের দোকানে সবচেয়ে বেশী হুন্ডির মাধ্যমে আসা অবৈধ টাকা লেনদেন হচ্ছে। হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত গডফাদাররা ওই বিকাশ এজেন্টের দোকানে বসে প্রকাশ্য লক্ষ লক্ষ টাকা বিতরণ করছে। উক্ত বিকাশ এজেন্টের সীম অনুসন্ধা বা বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করলে ভয়াবহ হুন্ডি চ্যানেলের অস্বভাবিক আসা টাকার লেনদেন ধরা পড়বে। পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিনা বাঁধায় হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এমনও অভিযোগ রয়েছে।

সচেতন মহলের মতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধি বা র‌্যমিট্যান্স আদায়ের অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা বন্ধ সহ জড়িত অবৈধ ব্যবসায়ীদের কে নজর দারী সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পাশা-পাশি পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান জরুরী হয়ে পড়েছে।

Exit mobile version