parbattanews

উখিয়ায় ইয়াবা আটকের ঘটনার জের ধরে যুবক অপহরণঃ মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার

মাহামুদুল হকের নেতৃত্বে ইয়াবা পাচারকারীরা সাদ্দাম হোসেনকে অপহরণ করে

উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা এলাকা থেকে সম্প্রতি ইয়াবা চালান আটকের ঘটনার জের ধরে সাদ্দাম হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে অপহরণ পূর্বক ব্যাপক মারধর করেছে। সে ওই এলাকার আবুল হোসনের ছেলে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসির সহযোগিতায় তাকে ভালুকিয়া চিতাখোলা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি চাকবৈঠা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইয়াবা পাচার করে আসছিল চাকবৈঠা এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে সিরাজ মিয়া (৩৫), মাহামদুল হক (৩০), শফিকুর রহমান (২৮) এরশাদুল হক (২৬) এবং তার মেয়ের জামাই ও সোনালীর ছেলে শাহজাহান (৪০), ছালেহ আহমদের ছেলে মোঃ ইমরান (৩২) গয়ালমারা এলাকার কাছিম আলী ছেলে মিজানুর রহমান ছুট্টো (৩০)সহ আরো অনেকে।

ভিকটিম সাদ্দামের চাচা ফরিদ আহামদ বলেন, এ সব ইয়াবা পাচারকারীদের নেতৃত্বে সীমান্ত দিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি ইয়াবা চালান নিয়ে আসার সময় আমার ভাতিজা (ভিকটিম) সাদ্দাম হোসনে (২৬) ইয়াবাগুলো জব্দ করে পুলিশকে খবর দিলে উখিয়া থানার এসআই ফারুক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জব্দকৃত ইয়াবা গুলো থানায় নিয়ে আসে। এরপর থেকে তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এই ইয়াবা সিন্ডিকেট। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার চাকবৈঠা নতুনপাড়া এলাকায় এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেলে তাকে মাহামুদুল হকের নেতৃত্বে উক্ত ইয়াবা পাচারকারীরা সাদ্দাম হোসেনকে অপহরণ করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমদ জানান, সাদ্দাম হোসেনকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ২০০/৩০০ এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী এবং আব্দুল হক উকিলের সহযোগিতায় ভালুকিয়া চিতাখোলা এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসলে ওসি (তদন্ত) দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। বর্তমানে উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সাদ্দাম হোসেনকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। তবে ভিকটিমের পরিবারকে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানিয়েছেন।

Exit mobile version