parbattanews

উখিয়ায় ইয়াবা কারবারীরা সক্রিয়: এক দিনে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

উখিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে ইয়াবা। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান এর হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইয়াবা ও মাদক বিরোধী অভিযানে ভাটা পড়েছে। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা মাদককারবারীরা প্রকাশ্যে এসে পুন:রায় ইয়াবা কারবারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে গুটিকয়েক ইয়াবার চালান আটক করতে সক্ষম হলেও বৃহৎ চালানগুলো অনায়াসে পৌঁছে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এ নিয়ে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে উখিয়ার সীমান্ত এলাকার রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া, পূর্ব ডিগলিয়া, দরগাবিল, হাতিমোরা, আমতলী, চাকবৈঠা, কড়ইবনিয়ার বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় করোনাকালিন সময়ে দীর্ঘ ৫ মাস প্রশাসনের তৎপরতার কারণে সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার অনেকটা কমে এসেছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ঝিমিয়ে পড়ায় শীর্ষ ইয়াবাকারবারীরা ঘরে ফিরে ফের ইয়াবা পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

গত ১ দিনে (মঙ্গলবার) উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বাঘঘোনা মার্কেট, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল ও রাজাপালং ইউনিয়নের আমতলীতে র‌্যাব ও বিজিবি’র পৃথক অভিযানে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। পাচার কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জন আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) ২টি, ১টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে র‌্যাব ও বিজিবি।

উখিয়া থানার উপপরিদর্শক মোবারক হোসেন বলেন, মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মর্জিনা আকতার মরজু’র নিকট এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version