parbattanews

উখিয়ায় কিশোরী গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের নায়ক ধরা পড়েনি

UKHIYA PIC 04.04
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার:

উখিয়ার চাঞ্চল্যকর সূর্য হাসি ক্লিনিকের মাঠকর্মী রাবেয়া বেগমকে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের নায়ককে পুলিশ ৫ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারে নি। যার ফলে কিশোরীর পরিবারের লোকজনের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীর আশঙ্কা প্রবাসী পুত্র ঘাতক আব্দুল্লাহ আল টিটু যেকোন সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। এনিয়ে তার পরিবার উঠে পড়ে লেগেছে।

সূর্যের হাসি ক্লিনিকের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ঘাতক যেন বিদেশ যেতে না পারে সে ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মামলার কাগজপত্রসহ ঘাতকের ছবি হস্তান্তরর করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত সিএনজি ড্রাইভার শাহাব উদ্দিনকে নিয়ে কক্সবাজার কলাতলী জি.এম. গেস্ট হাউস ইন কটেজে তদন্ত করেছে। এসময় ম্যানেজার আমির হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদসহ গণধর্ষণ ও হত্যা সংঘটিত কটেজের ১০২নং কক্ষে ধর্ষণের আলামত ও রক্ত মাখা বেড়শিট এবং হত্যাকারীদের ফেলে যাওয়া নমুনা উদ্ধারের জন্য অনুসন্ধান চালিয়েছে বলে তদন্ত সূত্রে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) উক্ত কটেজের ১০২নং কক্ষেই পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা স্বাস্থ্যকর্মী রাবেয়াকে গণধর্ষণের পর ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিশংসভাবে হত্যা করে লাশ ফুয়াদ আল-খতীব হাসপাতালের বারান্দায় রেখে পালিয়ে গেলেও দুর্বৃত্তদের ছবি হাসপাতালের সিসি ক্যামরায় ধরা পড়ে।

এদিকে আটককৃত সিএনজি ড্রাইভার শাহাব উদ্দিনের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ শুক্রবার (০৩ মার্চ) সকালে রত্নপালং খাল হতে নিহত কিশোরী রাবেয়ার উড়না, ভ্যানেটি ব্যাগ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। তবে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাহবুবুল আলমের পুত্র পাষণ্ড ঘাতক আবদুল্লাহ প্রকাশ টিটুকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

গ্রামবাসী বলছেন, আগে থেকেই ওই বাড়ির লোকজন প্রবাসে আছে। তাই ঘাতক টিটু যেকোন সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। এনিয়ে তার পরিবারের মধ্যে ব্যতিব্যস্ত চলাফেরা নিয়ে গ্রামের লোকজনের মধ্যে সন্দেহের দানা বেঁধেছে।

নিহত রাবেয়ার মা রাশেদা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার(৩১মার্চ) সূর্যের হাসি ক্লিনিকের মাসিক সভায় যোগদান করার জন্য সকাল ৮ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরে নি। সন্ধ্যার দিকে আবদুলাহ টিটু তার মেয়ে রাবেয়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছে বলে মুঠোফোনে জানালে রাত ৯ টার দিকে কক্সবাজার আল-ফুয়াদ হাসপাতালের ট্রলিতে মেয়ের নিথর মৃত দেহ দেখতে পাওয়া যায়।

নিহতের পিতা জয়নাল উদ্দিন মিস্ত্রি অভিযোগ করে বলেন, প্রতারক টিটু আরও কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হোটেল কক্ষে তার মেয়েকে উপর্যপুরি ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার মেয়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে পাষণ্ড ঘাতকরা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।এব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই আসামীদের গ্রেফতার করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত সিএনজি চালক শাহাব উদ্দিনের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

Exit mobile version