parbattanews

উখিয়ায় পাহাড়ের মাটিসহ ডাম্পার জব্দ

উখিয়ায় রাতের আধারে সরকারি পাহাড় অবৈধভাবে কর্তন করে গাড়ি ভর্তি করে সরবরাহের সময় মাটিসহ একটি ডাম্পার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

২৩ অক্টোবর (বুধবার) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী অভিযান চালিয়ে সোনার পাড়া কোট বাজার সড়কের রুমখা মনির মার্কেট এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দ করেন।

এদিকে গত সোমবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল পার্বত্য নিউজ ডটকমে এ সংক্রান্ত সংবাদ গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। সচেতন জনগণের অভিমত উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযান শুরু করলেও বন বিভাগ রহস্যজনক কারণে এখনো নীরব রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জালিয়া পালংয়ের জুম্মাপাড়া ও দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া এলাকার বনবিভাগের পাহাড় অবৈধভাবে কর্তন করে ইনানীর শফি বিল এলাকায় জামালের মালিকানাধীন ডাম্পার ও ফিকআপ মাটি সরবরাহ করে আসছিল। প্রশাসনের হাতে জব্দকৃত ডাম্পারটি মাটি খেকো জামালের বলে জানা গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় উখিয়ায় চলছে নির্বিচারে পাহাড় কাটার প্রতিযোগিতা। সরকারি আইনকে অমান্য করে সংঘবদ্ধ মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্র পাহাড়ের মাটি অবৈধভাবে কেটে ট্রাক ডাম্পার ও পিকআপ যোগে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। দালান, বাড়িঘর ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করতে হাজার হাজার ফুট মাটি প্রয়োজন। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে ভরাট কাজে মাটি যোগান দিচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন জালিয়াপালং বন বিটের অধীনে দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া ও জুম্মা পাড়ায় সরকারি বনভূমি এবং পাহাড় কর্তন করে প্রতিদিন মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। অভিযোগে প্রকাশ স্থানীয় বন বিভাগকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সংরক্ষিত এলাকা হতে ট্রাক-পিকআপ ও ডাম্পার ভর্তি করে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি পাচার করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপ থাকায় মাটি খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা রাতের বেলায় মাটি পাচার শুরু করেছে। ট্রাক ডাম্পার ও পিকআপ যোগে মাটি ভর্তি করে কোট বাজার, মরিচ্যা, রত্নাপালং, রুমমা বাজার সহ ইত্যাদি জায়গায় পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

Exit mobile version