parbattanews

উখিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ : ২০ লাখ টাকার মাছ ও কাকড়া নিধন

কক্সবাজারের উখিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ মাছ ও কাকড়া নিধন করেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সাবেক মেম্বারসহ দুইজনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী গোরা মিয়া।

সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের হাবারছড়া প্রজেক্টে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে প্রকাশ, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফারিরবিল এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাবেক মেম্বার সোলতান আহাম্মদ ও একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে খাইরুল বশর প্রজেক্টে বিষ দিয়ে এই নিধনযজ্ঞ চালায়। যার একাধিক স্বাক্ষী রয়েছে। এতে অন্তত ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে উৎসুক লোকজন ওই মৎস্য প্রজেক্টে গিয়ে মৎস্য নিধন দেখে বলেন ঘৃণ্য এই কাজটি যে বা যারা করেছে তারা কখনো মানুষ হতে পারে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিষক্রিয়ায় চিংড়ি, কাকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এমনকি সাপ পর্যন্ত মরে গেছে।

প্রজেক্ট লীজ গ্রহীতা ও ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী আঞ্জুমান পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ সোলেমান এর ছেলে গোরা মিয়া বলেন, আমরা কয়েকজন অংশীদারি ভিত্তিতে ৩৫ একর জমি লীজ নিয়ে প্রজেক্টটি করেছিলাম। এখন দুর্বৃত্তরা বিষ দেওয়ায় চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তিনি বলেন, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার সোলতান আহমদ নিজেকে প্রজেক্টের আসল লীজ গ্রহীতা দাবি করে বলেন, সেখানে বিষক্রিয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। মাদককারবারিরা এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

অপরদিকে অভিযুক্ত সোলতান মেম্বার ওইদিন বিকেলে পালংখালী স্টেশন থেকে ৬টি বিষের বোতল কিনেছে এমনটি জানিয়েছেন জননী বীজ ভান্ডারের মালিক জিল্লুর রহমান।

একইদিন সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত দুইজনকে প্রজেক্টের দিকে যেতে দেখেছে এমনটি জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Exit mobile version