parbattanews

উখিয়ায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন!

উখিয়ায় সম্পত্তির লোভে সৎ মায়ের প্ররোচনায় প্রতিবন্ধী বোবা ছেলেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে পাষণ্ড পিতার বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় উখিয়ার মুহুরীপাড়ার আবুল কালামের স্ত্রী এহছানা ২ সন্তান রেখে গত দেড় আগে মৃত্যুবরণ করে। বড় ছেলে মোঃ আল রিয়াদ(১৫) জন্ম থেকে বোবা আরেক ছেলের বয়স এখনো ৩ বছর। এহছানা বেগম মৃত্যুর আগে পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত সম্পদ বিক্রি ও নিজের জমানো টাকায় একটি দালান ঘর নির্মাণ করেন। এহছানা বেগম অর্থ্যাৎ ১ম স্ত্রীর মৃত্যুর পর আবুল কালাম মিস্ত্রি ২য় বিয়ে করেন। বাড়িতে ২য় স্ত্রী আসার পর থেকে প্রতিবন্ধী এহছানের উপর নেমে আসে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। সে থেকে সৎ মায়ের পরামর্শে এহছানকে দিনমজুরি কাজে লাগিয়ে দেয়।

এহাছান সারাদিন কাটা খাটনি করে ৩০০-৪০০ টাকা পায়। উপার্জিত সব টাকা বাবার হাতে তুলে দেয়। এতকিছুর পরও সৎ মা আর পাষণ্ড বাবার আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত প্রতিবন্ধি রিয়াদ। পান থেকে চুন খসলে মারধর করা হয় রিয়াদকে। গত ৩দিন পূর্বে সৎ মায়ের পরামর্শে রিদুয়ানকে ঘর থেকে বের করে দেয় পিতা আবুল কালাম। ৩দিন ধরে এক প্রতিবেশীর বারান্দায় রাত্রিযাপন করার পর। আজ ৪ অক্টোবর দুপুরে বাড়িতে খাবার খেতে গেলে রিয়াদকে সৎ মায়ের উস্কানিতে বেদম প্রহার করে পাষন্ড পিতা। প্রতিবেশীরা রিয়াদকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী রিয়াদ মুখে কিছু বলতে না পারলেও ইশারা-ইঙ্গিতে তার উপর চলা নির্যাতনের বর্ননা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল বলেন প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নই, সম্পদ! তারা একটু আদর-যত্ন পেলে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের উচিত তাদেরকে সহযোগিতা করা। প্রতিবন্ধীদের প্রতি পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতা কোনভাবে কাম্য নই।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উখিয়া শাখার দপ্তর সম্পাদক এইচ. কে রফিক উদ্দিন বলেন, পিতা কর্তৃক প্রতিবন্ধী ছেলে নির্যাতনের খবর শুনামাত্র ছুটে গিয়েছিলাম সুস্থ্য হওয়ার পর প্রতিবন্ধী রিয়াদকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

Exit mobile version