উখিয়ায় প্রথম ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার উদ্বোধন করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
আমরা জয়ী, আমরা দুর্বার, প্রযুক্তি এগিয়ে যাওয়ার হাতির। উদ্ভাবনী, সাশ্রয়ী, উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ বলেছেন, প্রান্তিক অঞ্চলে কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের প্রথম ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ।
এই সেন্টারের প্রথম কাজ হবে কৃষক এবং উৎপাদিত পণ্যের সাথে ক্রেতাদের সম্পর্ক সৃষ্টি করা। পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত প্রদান পূর্বক রোগবালাই প্রতিরোধ, উৎপাদিত পণ্যের বাজার দর ও বাজারজাত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই ডিভিসি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। গত ১৩ বছর আগের গ্রাম আর আজকের গ্রামের দৃশ্য অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। যা শুধুমাত্র ডিজিটালাইজেশনের কারণে সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।”
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ৮ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। যেটি মানুষের সেবার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির দিকে সকলকে ধাবিত করেছে।”
এর আগে প্রতিমন্ত্রী পলক প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং উৎপাদিত পণ্যের বিষয়ে কথা বলেন।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এসনোভ বাকনোদুর, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশীষ রঞ্জন নাথ, এটুআই আইসিটি ডিভিশনের কর্মকর্তা আনির চৌধুরী, ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র অফিসার রেজওয়ানুল হক জামি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব, উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীসহ, সরকারি-বেসকারি পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ নানা কার্যক্রম পরিদর্শনপূর্বক জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
পরে দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে উখিয়া ত্যাগ করেন তিনি।