উখিয়া প্রতিনিধি:
উখিয়ায় নবনির্মিত দু’টি রাবারড্যাম প্রান্তিক কৃষকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। বুরো মৌসুমে রাবারড্যামের পানি দিয়ে প্রায় ২শ একর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। অনাবাদি জমিতে এই প্রথম শুষ্ক মৌসুমে বুরো চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় ৩শতাধিক কৃষকের পরিবারে হাঁসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহরাব আলী জানান, অংশগ্রহণ মূলক ক্ষুদ্রাকার পানির সম্পদ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-২০১৬অর্থ বছরে বাংলাদেশ সরকার ও বিদেশী দাতা সংস্থার অর্থায়নে উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের থিমছড়ি-পূর্বকূল খালের উপর একটি রাবারড্যাম স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ৩ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
জানা যায়, শুস্ক মৌসুমে অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় রাবারড্যাম প্রকল্প চালু করেছে। থিমছড়ি-পূর্বকূল খালের উপর রাবারড্যাম স্থাপন কাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরে প্রায় ১শ হেক্টর জমিতে ধান চাষের পাশা-পাশি শাক সবজির চাষ করতে পারছে স্থানীয় কৃষকরা।
এদিকে অংশগ্রহণ মূলক ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ সেক্টর প্রকল্পের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম গত ১মে থিমছড়ি-পূর্বকূল খালে স্থাপিত রাবারড্যামের আওতায় বুরো মৌসুমের চাষাবাদ দেখতে সরজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বাম্পার ফলন দেখে অভিভুত হন এবং স্থানীয় উপকারভোগী প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলেন। শুধু তাই নয় তিনি নিজেই উৎপাদিত শষ্য কর্তনের মাধ্যমে মাঠ দিবস পালন করেন। এ সময় উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিত দত্ত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহরাব আলীসহ উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।