উখিয়ায় বোরো চাষাবাদে শীষ মরা রোগ, কৃষকরা দিশেহারা

fec-image

আর মাত্র সপ্তাহ খানেক পরে ঘরে তোলা শুরু হতো বোরো ধান। হঠাৎ করেই বোরো চাষাবাদে দেখা দিয়েছে শীষ মরা রোগ। বিভিন্ন কোম্পানীর কিটনাশক ঔষধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে ধানের ফলন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উখিয়ার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উখিয়া উপজেলায় ৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। গত আমন মৌসুমে অনু খাদ্যের অভাবে শত শত হেক্টর জমির ধান লাল বর্ণ হয়ে মরে যায়। এতে কৃষকরা ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েন। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা কোমড় বেধে মাঠে নামেন ধান রোপন করতে। শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রোগ বালায় মুক্ত ছিল ধানের গাছ। বাম্পার উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছিল কৃষকরা। কিন্তু হঠাৎ করেই গত এক সপ্তাহ আগ থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোথাও ব্লাষ্ট আবার কোথাও মাজরা পোকার আক্রমন আবার কোথাও ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হতে পারে এমনটায় বলছেন কৃষকরা। কিন্তু ধান লালবর্ণ হবার আগেই হঠাৎ করেই শেষ সময়ে ধানের শীষ মরা রোগ দেখা দেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার কৃষক হেলাল উদ্দিন, পুর্বডিগলিয়া পালং এলাকার ছৈয়দ আলম, চাকবৈঠা এলাকার রশিদ আহমদ ও ছব্বির আহমদ জানান, শুরু থেকে ধান ভাল থাকলেও হঠাৎ করেই গত এক সপ্তাহ ধরে ধানের শীষ মরা রোগ দেখা দিয়েছে। শীষ মরা রোধ করতে প্রতি বিঘায় চার থেকে পাঁচ বার কিটনাশক ঔষধ ছিটিয়েও কোন প্রতিকার মিলছেনা। ফলে ফলন বির্পযয় হতে পারে এমন আশংকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগ, করোনার অজুহাত দেখিয়ে উপসহকারী কৃষি অফিসারেরা মাঠে-ময়দানে ঠিকমতো আসছেনা। যার ফলে ধানের যথাযথ কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দিন দিন মহামারীর দিকে চলে যাচ্ছে শীষ মরা রোগ।

এব্যাপারে উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দুলন চন্দ্র রায় জানান, আবহাওয়ার কারণে কিছু কিছু এলাকায় ব্লাষ্ট এবং মাজরা পোকার আক্রমনে ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। এটা প্রতিরোধের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক উপসহকারী কৃষি অফিস।

তিনি বলেন, বোরো চাষাবাদের শুরুতে কৃষকদের ব্রি-২৮ নামের ধানটি রোপন না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, যারা ব্রি-২৮ ধান চাষ করেছে তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে। তবে আশা করি ফলনের লক্ষ্যমাত্রায় তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না এ শীষ মরা রোগ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন