parbattanews

উখিয়ায় ভুয়া ওয়ারেন্ট ২৯ দিন কারাভোগ করেছে এক যুবক

image_47007

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার:
গাজীপুর জেলার কাপাশিয়া থানার ভূয়া ওয়ারেন্ট গ্রেপ্তার হয়ে ২৯ দিন কারাভোগ করেছেন ইমাম হোসেন (২৬) নামে এক নিরপরাধ যুবক। সে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া তুলাতলী গ্রামের মৃত সব্বির আহম্মদের ছেলে।

একটি কু-চক্রী মহল জমি সংক্রান্ত বিরোধ কে কেন্দ্র করে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শীলমোহর ও বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গাজীপুর জেলার কাপাশিয়া থানার মামলা নং- ৫(১)১২, ধারা- ৪২০/৪০৬ দেখিয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের নিকট ভূঁয়া ওয়ারেন্ট প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে কক্সবাজার পুলিশ সুপার উক্ত ওয়ারেন্ট খানা স্বারক নং- ৮১৯/ডাবি¬উএ ইস্যু করে গত ০৩/১০/২০১৩ ইং তারিখ উখিয়া থানায় প্রেরণ করে। উখিয়া থানার পুলিশ উক্ত ওয়ারেন্ট পেয়ে গত ০৯/০৪/২০১৪ ইং তারিখ উখিয়া থানার হাতীমোরা এলাকার শামশু সওদাগরের চায়ের দোকান থেকে নিরপরাধ ইমাম হোসেন কে গ্রেপ্তার করে উপনথি মূলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন।

নিরপরাধ ইমাম হেসেন (২৬) কক্সবাজার জেলা কারাগারে ১৩ দিন কারাভোগের পর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্মারক নং- ১৬৭(৩)/১৪, তারিখ ১৩/০৪/২০১৪ ইং এর উপনথি মূলে ইমাম হোসেন কে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নিকট সোর্পদ করে পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। পরবর্তীতে মামলার ধার্য্য তারিখে ইমাম হোসেন বর্ণিত মামলার কোন আসামী নয় মর্মে গাজী পুর জেলা জজ আমির হোসেন স্বারক নং- ডিজে/গাজী ৩০৯, তারিখ ২৩/০৪/২০১৪ ইং মূলে সনাক্ত করলে নিরপরাধ আমির হোসেন গত ০৭/০৫/২০১৪ ইং তারিখ  জামিনে জেল থেকে মুক্তি পায়।

এদিকে দীর্ঘ ২৯ দিন কারাভোগের পর ইমাম হোসেন মামলার দায় থেকে মুক্তি পেয়ে উখিয়া এসে সাংবাদিকদের জানান, পৈত্রিক জমি নিয়ে  ভালুকিয়া আমতলী গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আশরফ আলী (৬০) ও একই এলাকার মোক্তার আহম্মদ (৫৮) চাকমা পাড়া এলাকার তাহার পৈত্রিক ওয়ারীশি আবাদী জমি জোর দখলের পায়তারা করে আসছিল। সে প্রতিবাদ করায় তাহারা ষড়যন্ত্র করে বিচারক ও পুলিশের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে তাকে মিথ্যা ভাবে হয়রানী ও কারাভোগ করার জন্য জঘন্য এ কাজ করেছেন। ইমাম হোসেন এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবী করেছেন।

এদিকে আদালতের শীল মোহর বিচারক ও পুলিশের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে পাঠানো ভূয়া ওয়ারেন্ট কপির মাধ্যমে নিরপরাধ যুবক ২৯ দিন কারাভোগের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জন সাধারনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সহ আতংক বিরাজ করছে। সচেতন মহলের মতে এসব জঘন্যতম অপরাধের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় না আনলে সাধারণ মানুষ আইন এবং আইনের শাসনের প্রতি আস্থা হারাবে।

উখিয়া থানার নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একজন উপ-পরিদর্শক জানান, আদালতের ওয়ারেন্ট তামিল করা পুলিশের দায়িত্ব। তাহা সঠিক কিনা তাহা নির্ণয় করবে আদালত। সেখানে পুলিশের কোন দোষ নেই।  

 

Exit mobile version