parbattanews

উখিয়ায় যৌতুকের দাবীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা

ctg4bd_1348401499_2-1

নিজস্ব প্রতিনিধি :
অন্তঃসত্ত্বা নাজমা আক্তার (১৮) নামক এক গৃহবধুঁকে অমানষিক নির্যাতন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উখিয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে। যৌতুকের টাকার জন্য পাষান্ড স্বামী আব্দুল মজিদ ও তার সহযোগীরা তুতুরবিল গ্রামে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি সংঘটিত করে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিদানিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের কন্যা নাজমা আক্তারের সাথে রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল মজিদের সামাজিকভাবে বিবাহ হয়। বর্তমানে গৃহবধু ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এদিকে বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করে আসছিল তার স্বামী। বাপের বাড়ী থেকে যৌতুকের ২ লক্ষ টাকা আনতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে পাষন্ড স্বামী মজিদ  গত ১১ জুন স্ত্রীর ওপর নাজমাকে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে হাত পা বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালায়। গৃহবধুর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী ছুটে এসে এমন নির্মম ঘটনা দেখে মেয়ের পিতাকে খবর দেয়।

যৌতুকের জন্য মেয়ের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের খবর পেয়ে পিতা আব্দুল কাদের উখিয়া থানায় গিয়ে অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমানকে ঘটনাটি অবহিত করেন। অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে একদল পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধু নাজমাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় পুলিশের অভিযান টের পেয়ে স্বামী মজিদ সহযোগী আব্দুল হক, আব্দুর রশিদ, ননদ সাবেকুনাহার, শাশুড়ি গোলজার বেগম ও জামাতা হাছান পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

পিতা আব্দুল কাদের জানান, মেয়ে নাজমার বিয়ের সময় প্রায় ৩ লক্ষ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাস যেতে না যেতে স্বামী, শাশুড়িসহ বাড়ীর অন্যান্য সদস্যরা আবারো যৌতুকের টাকা দাবী করে। যৌতুকের টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করায় আমার মেয়েকে অমানুষিক নির্যাতনের পর হাত পা বেঁধে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করলে আমার মেয়ের জীবন ফিরে পায়। এ ব্যাপারে স্বামী মজিদ, ভাসুর আব্দুর রশিদ, দেবর আব্দুল হক ও মোহাম্মদ আলম, শাশুড়ি গোলজার বেগম, ননদ সাবেকুনাহার ও জামাতা হাসানের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

Exit mobile version