parbattanews

উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের একচ্ছত্র ব্যবসা বাণিজ্য: স্থানীয়দের মাথায় হাত

দা, ছুরি, লোহার রড, কুড়াল, কোদাল কাস্তে থেকে শুরু করে তরি-তরকারিসহ অনেক ব্যবসা বাণিজ্যে এখন রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। বৈধ-অবৈধ সব ব্যবসায় রোহিঙ্গাদের একচ্ছত্র রাজত্ব চলছে। এ যেন আরেক “মগের মুল্লুকে পরিনত উখিয়ার ক্যাম্প এবং পাশের দোকানপাট গুলো।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়ার ২০টি ক্যাম্পে আশ্রয়ের পাশাপাশি, তরি-তরকারি বাজার থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যসহ ব্যবসা বাণিজ্যে শুরু করায় স্থানীয়দের মাথায় হাত। স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ-পাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও রোহিঙ্গাদের বৈষম্য আচরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় রোহিঙ্গারা বেপরোয়া ব্যবসা-বাণিজ্য করে গেলেও দেখার বা বলার কেউ নেই।

সরেজমিনে কুতুপালং কয়েকটি ক্যাম্প বাজার ঘুরে দেখা যায়, কুতুপালং বাজারের কাঁচা তরি-তরকারি দোকান গুলোর মালিক অধিকাংশই রোহিঙ্গা। তারও অদূরে লম্বাশিয়া এলাকায় সহ সহস্রাধিক দোকান রয়েছে। এসব দোকানের ৯৯% রোহিঙ্গা নাগরিক। ১শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় লোকজনের দোকান-পাট থাকলেও রোহিঙ্গাদের বৈষম্য আচরণের কারণে বেচাকেনা না হওয়ায় বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

স্থানীয় লম্বাশিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, রোহিঙ্গা আসার পর পরই সে একটি দায়ের দোকান দিয়েছিল। কিছু দিন চলতে না চলতে তার পাশে কয়েকটি দোকান গড়ে তুলে রোহিঙ্গারা। এরপর থেকে বেচাকেনা কমে যায়। এমনকি এক পর্যায়ে দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় সে।

একই ভাবে তরি-তরকারি ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম বলেন, লম্বাশিয়ায় প্রথমে রোহিঙ্গা আসার পর তার একটি মাত্র তরি-তরকারি দোকান ছিল। দৈনিক ১০হাজার টাকার উপরে কাঁচা মালামাল বিক্রি হতো। রোহিঙ্গারা এখন কয়েক‘শ দোকান গড়ে তুলেছে। যার কারণে হাজারের অধিক বেচাকেনা হয়না। এই ধরনের অভিযোগ অধিকাংশ স্থানীয় ব্যবসায়ীর।

সূত্র মতে, আশি দশকের পর থেকে একের পর এক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের অনুপ্রবেশের কারণে উখিয়ার স্থানীয় লোকেরা নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উঠছে। এমনকি বাপ-দাদার দিনের দখলীয় জায়গা-জমি, বসতভিঠা ছেড়ে দিয়ে পথে বসতে হয়েছে অনেককে। এরপরও সরকারের মানবিক মনোভাবের কারণে স্থানীয় লোকজন মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের প্রতি সহনশীল আচরণ করে আসছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা কথায় কথায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে দ্বিধা করছেনা।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় যে সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর ভূমিকা রাখবে।

Exit mobile version