parbattanews

উখিয়ায় শতাধিক খাদ্য-শস্য ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহকারী ব্যবসায়ী পথে বসেছে

উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক খাদ্য-শস্য, খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহ ও গুদামজাত করণ ব্যবসায়ী রয়েছে। যারা দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য শস্য, খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে আসছে। কিন্তু গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের পর এসব ব্যবসায়ীরা এখানকার উৎপাদিত খাদ্য শস্য, খাদ্য সামগ্রী বাইরে বিক্রি করতে পারেনি। যার কারণে এসব ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এ বিষয়ে উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্ত উখিয়ায় প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছে। তাদের লাইসেন্সের অনুবলে ৩’শ মেট্টিকটন খাদ্য শস্য এবং খাদ্য সামগ্রী মজুদ ও সরবরাহ করতে পারবেন। কিন্তু এসব ব্যবসায়ীরা গত ২ বছর ধরে এক কেজি খাদ্য শস্য এবং খাদ্য সামগ্রী কোথাও বিক্রয় করতে পারেনি।

কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে উখিয়া সদরের ব্যবসায়ী সদুত্ত বড়ুয়া, উজ্জ্বল দাশ গুপ্ত, শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং মোহাম্মদ কবির জানান, তারা দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর যাবৎ এ ব্যবসা করে আসছে কোন প্রকার বাধা-বিপত্তি ছাড়া। কিন্তু হঠাৎ তাদের মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন অজুুহাত দেখিয়ে গাড়ীসহ মালামাল জব্দ করে কাস্টম্সে জমা দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমরা সরকারের রাজস্ব দিয়ে এই ব্যবসা করে আসছি।

উখিয়ার বালুখালী শুল্ক গুদামের এক কর্মকর্তা জানান, কি কারণে এসব মালামাল জব্দ করা হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা নিজেরাই এসব মালামাল জব্দ না করার জন্য প্রশাসনকে বলেছি। কিন্তু তারা এরপরও এসব মালামাল জব্দ করে যাচ্ছে।

প্রশাসনের লোকজনের নিকট থেকে জানা গেছে, জব্দকৃত মালামাল গুলো ত্রাণের মালামাল সন্দেহে আটক করা হচ্ছে। এছাড়াও এসব মালামাল উপজেলার বাইরে যেন না যেতে পারে সে ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে বলে সূত্রে জানায়।

খাদ্য শস্য ও খাদ্য সামগ্রী ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাশ গুপ্ত অভিযোগ করে বলেন, আমরা সরকারের রাজস্ব দিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু এরপরও বৈধ মালামাল গুলো জব্দ করার কারণে আজকে আমাদেরকে পথে বসতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।

Exit mobile version