উখিয়ায় শিশুকে অপহরণ চেষ্টা, রোহিঙ্গা যুবক আটক

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী মোছারখোলা এলাকায় তাশপিয়া (৬) নামের এক স্থানীয় শিশুকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে মো. জুবাইর (২৩) নামের এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে স্থানীয়রা।

রোববার (১৩ মার্চ) বিকালে আটক রোহিঙ্গা যুবককে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর মাঝে হস্তান্তর করেন স্থানীয় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

আটক জুবাইর থাইংখালী হাকিমপাড়া ক্যাম্প-১৪ (ব্লক/ডি২) এর বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে। ভিকটিম শিশু তাশপিয়া ৬নং ওয়ার্ডের মোছারখোলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হকের মেয়ে।

জানা যায়, রোববার দুপুরের পর মোছারখোলার হাতকাটা ঘোনা জঙ্গল থেকে শিশু তাশপিয়াসহ রোহিঙ্গা জুবাইরকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ রোহিঙ্গা জুবাইরকে আটক করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর কাছে নিয়ে আসে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফয়েজুল ইসলাম।

ফয়েজুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা যুবক কতৃক স্থানীয় এক শিশুকে অপহরণ চেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে ভিকটিমসহ অভিযুক্তকে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে আসি।

ভিকটিমের মাতা নুর বেগম বলেন, তার দুই মেয়ে তাশপিয়া ও তার ছোট বোন একসাথে বাড়ির বাইরে খেলতে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর অজান্তে একজনকে (তাশপিয়া) প্রলোভন দেখিয়ে এক রোহিঙ্গা যুবক অপহরণ করার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসীর সাহায্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

শিশু তাশপিয়ার নানি নুর নাহার বলেন, প্রথমে তিনি খবর পেয়ে স্থানীয় যুবক মোঃ আমিনকে সাথে নিয়ে এলাকাবাসীসহ তার নাতনিকে উদ্ধার করে এবং ওই রোহিঙ্গা যুবককে তাড়া করে আটক করে।

এলাকাবাসী জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসবাস ও এলাকাটি নির্জন হওয়ায় দিনেদুপুরে অপহরণের ঘটনা ঘটছে। ওই এলাকায় কিছুদিন আগেও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের মোছারখোলা এলাকায় অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে জনতা। পরে ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ৮ এপিবিএন এর হাতে আসামিকে সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গত ৩ তারিখ একই এলাকার শহরমুল্লকের ছেলে দুদু মিয়ার এক সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গারা। পরে গত ৬ তারিখ ঘটনার তিন দিন পর ৩০ হাজার মুক্তিপণ আদায় করে সন্তানকে উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন